ভয়ের সিনেমা দেখলে যা হয়

  03-11-2019 08:02PM

পিএনএস ডেস্ক : একটি ভালো হরর চলচ্চিত্র আপনার শরীরে বেশ প্রভাব ফেলতে পারে। কখনো কখনো আপনাকে জীবন নিয়ে আতঙ্কিতও করে ফেলতে পারে এসব সিনেমা।

হরর মুভি: সাদা রক্তকণিকার জন্য ভালো
ভীতিকর সিনেমা আমাদের জন্য ভালোও হতে পারে। একটি পরীক্ষায় ৩২ জন পুরুষ ও নারী (২০-২৬ বয়সি) একটি ঘরে শান্তভাবে বসেছিলেন বা কেউ কেউ ‘দ্য টেক্সাস চেইনস ম্যাসাকার’ চলচ্চিত্রটি দেখেন। যারা ওই চলচ্চিত্র দেখেছেন তাদের শ্বেত রক্তকণিকাগুলো আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তুলে।

আজ রাতে জিম ছাড়বেন?
লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় অ্যামাজন ডটকমের লভইফিলমের সঙ্গে মিলে গবেষণা করে দেখায় যে, ‘দ্য শাইনিং’ দেখে ১৮৪ ক্যালরি, ‘জওস’ দেখে ১৬১ ক্যালরি, ‘দ্য এক্সোরিস্ট’ দেখে ১৫৮ ক্যালরি এবং ‘এলিয়েন’ দেখে ১৫২ ক্যালরি পোড়া যায়। তবে ‘দ্য টেক্সাস চেইনস’ ম্যাসাকার’ দেখলে মাত্র ১০৭ ক্যালরি পোড়ে।

প্রশিক্ষণের একটি ফর্ম
আমরা হরর মুভিগুলোতে আকৃষ্ট হই, কারণ, এগুলো এক ধরনের অনুশীলনমূলক এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আমাদের চালিত করে। হরর গবেষক মাটিয়াস ক্লাসেন বলেন, এটি আচরণগত আবেগগুলোর বিকাশ করে, যা ঝুঁকিগুলো নিয়ে দ্রুত ও যথাযথভাবে প্রতিক্রিয়ার জানান দেয়। উদাহরণস্বরূপ ‘দ্য শাইনিং’ দেখুন এবং আপনি আপনার দূরবর্তী হোটেলটিতে ভ্রমণের জন্য আরো ভালোভাবে প্রস্তুত হবেন।

আপনিও সাপ দেখেছেন
ভার্জিনিয়ার গবেষকরা আটটি বিভ্রান্তিমূলক চিত্রের মধ্যে প্রাকবিদ্যালয় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের একটিমাত্র চিত্র খুঁজে নিতে বলেছিলেন। শিশু ও বয়স্ক উভয়ই ফুল, ব্যাঙ বা শুঁয়োপোকার চেয়ে সাপকে অনেক বেশি দ্রুত শনাক্ত করেন।

ভয়
ভয় এবং মনোভাব পরিবর্তনের অনুভুতিগুলো আমাদের রক্ষার জন্য। তবুও মানুষের বিবর্তন আধুনিক সভ্যতা ধরে রাখেনি। মাকড়সা, সাপ, উচ্চতা, বদ্ধস্থান নিয়ে আমরা ভয় পেলেও সত্যিকার অর্থে যা আমাদের হত্যা করতে পারে, তার সঙ্গে এগুলোর খুব কম মিল।

‘পেশেন্ট এসএম’
সবাই ভয়াবহতায় আক্রান্ত হয় না। রোগী এসএম (ছবিতে নেই) অ্যামিগডালার ক্ষত ভোগ করেছেন। তিনি হরর ফিল্ম, ভুতুড়ে বাড়ি বা ভয়ঙ্কর প্রাণী দেখেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। এসএম তিন মিনিটেরও বেশি সময় ধরে সাপটিকে ধরেছিলেন, সেটির চামড়া ঘষেছিলেন এবং সাপটির জিহ্বা স্পর্শ করেছিলেন।

ভয়ের গন্ধ
আপনি কি জানতেন কোনো হরর ফিল্ম দেখার পর আপনি অন্যরকম গন্ধ পান। ভিয়েনায় একদল সিনেমাপ্রেমীতে একটি ভয়ের ছবি (ক্যান্ডিম্যান) এবং একটি সাধারণ চলচ্চিত্র দেখানো হয়েছিল। যারা ভয়ের সিনেমা দেখেছিলেন তারা তাদের বগল থেকে ভয়ের ঘ্রাণ পান।

পানিতে যাবেন না!
হরর ফিল্মগুলো দেখার পর তা আপনার মধ্যে একটি স্থায়ী ও নেতিবাচক ছাপ রেখে যেতে পারে। ফলে এসব সিনেমা দেখে সাঁতার কাটতে যাওয়া ঠিক নয়।

ভয়ের পরবর্তী সীমান্ত: হরর ভিডিও গেমস?
হরর ভিডিও গেমগুলোর প্রভাব খুব বেশি, আর এই ধরনটি বেশ নতুন। গবেষণায় দেখা যায়, ভিডিও গেমিংয়ের অভিজ্ঞতার তীব্রতা ঘুমকে ব্যাহত করে।

ডিডাব্লিউ থেকে

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন