মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন দীপিকা!

  25-01-2020 05:25PM

পিএনএস ডেস্ক : দাভোসে আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছেন দীপিকা পাডুকোন। মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করার জন্য তাকে এই বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। আর সেখানেই তিনি তুলে ধরলেন তার সেই ভয়ঙ্কর অবস্থার কাহিনী।

একজন সফল নায়িকা হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াই করেছেন দীপিকা। আগেও বিভিন্ন মঞ্চে সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি। মানুষকে মানসিক সমস্যার জন্য সচেতন হওয়ার কথা বারবার বলেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু ডিপ্রেশনের শুরুতে ঠিক কী হয়েছিল দীপিকার সঙ্গে সে কথাই জানালেন দাভসে।

দীপিকা জানিয়েছেন, কোন ওয়ার্নিং ছাড়াই ডিপ্রেশনের কোপে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময় একের পর এক সফল ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি, তার পাশে সব সময় থাকে সে তার পরিবার অর্থাৎ মানসিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে বুঝতে পারেননি তিনি।

কিন্তু হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান তিনি। মেঝেতে পড়ে গিয়ে মাথায় লেগেছিল তার। বাড়িতে তখন একাই ছিলেন দীপিকা। কাজের মেয়ে এসে যাওয়ায় তাকে উদ্ধার করা হয়। সেদিন সারাদিন ঘুমিয়ে ছিলেন অভিনেত্রী, আর ব্লাড প্রেসার উঠানামা করছিল।

দীপিকা আরও বলেন, এই সময় হঠাৎ হঠাৎ ঘেমে যেতেন তিনি, নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য বাইরে বের হতে তাকে। মাঝে মধ্যে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলতেন। তবে ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে তিনি জেনেছেন যে তিনি একা নন আর সবকিছু শেষে আশা আছে বলেই উপলব্ধি করতে পেরেছেন অভিনেত্রী ।

এর আগে একটি ব্লগে দীপিকা জানিয়েছিলেন, একটি গানের সিকোয়েন্সে সময় যখন সবাই আনন্দ করছিল, তখন তার হঠাৎ করে একা লাগতে শুরু করে। সবার মাঝখান থেকে দৌড়ে গিয়ে বাথরুমে দরজা বন্ধ করে কাঁদতে শুরু করে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সব সময় তিনি দুঃখ অনুভব করতেন। কোন কিছুতেই আনন্দ হতো না তার আর বেশির ভাগ সময় শুধু ঘুমাতে ইচ্ছা করতো।

তার পরিবারের সবাই যখন মুম্বাইতে তার কাছে থাকবে এসেছিলেন কিছু দিনের জন্য, তখন দীপিকা তাদের সামনে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের ফেরার সময় হতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। এরপরই তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন পরিবারের সবাই। তখনই দীপিকার ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন ধরা পড়ে।

এরপর একই সঙ্গে চলে দীপিকার কাউন্সেলিং ও ওষুধ। তারপরে কিছুটা সুস্থ হন তিনি। আগে ও দীপিকা বারবার বলেছেন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সমস্ত পুরনো ধ্যান-ধারণা ফেলে সব মানুষের সতর্ক হওয়া উচিত।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন