পিএনএস ডেস্ক: সালটা ১৯৮৪। বলিউডের বাঙালি পরিচালক হীরেন নাগের হাত ধরে ছবির জগতে পা রাখলেন পরবর্তী সময়ের সুপারস্টার মাধুরী দীক্ষিত। তার বিপরীতে অভিনয়ের জন্য হীরেন নাগ বেছে নিলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় মুখ তাপস পালকে। ততদিনে তার ঝুলিতে চলে এসেছে দাদার কীর্তি (১৯৮০) এবং সাহেব-এর (১৯৮১) মতো ছবি। তবে বলিউডে ছিল সেটিই তার প্রথম কাজ। ছবির নাম অবোধ।
রাজশ্রী প্রোডাকশনস-এর তারাচাঁদ বর্জাতিয়া প্রযোজিত অবোধ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এমনকি কেউ কেউ তো বলেই দিয়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিতের ক্যারিয়ার শেষ। আর কোনওদিন শ্যুটিং ফ্লোরে ফেরার সুযোগও পাবেন না।
সাময়িকভাবে আড়ালে চলে গেলেও, কয়েক বছর পরই স্বমহিমায় ফিরে আসেন মাধুরী দীক্ষিত। বাকিটা তো যাকে বলে ইতিহাস। তাপস পালের বলিউডের স্বপ্ন এরপর আর সফল না হলেও, বাংলা ছবির জগতে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে উঠলেন তিনি। ১৯৮৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ ছবিটি সেই সময়ে ব্লক বাস্টার হিট ছিল। তালিকায় রয়েছে গুরুদক্ষিণার মতো ছবিও।
ছবির দুনিয়ায় কয়েক দশক রাজত্ব চালিয়ে ধীরে ধীরে চলে আসেন রাজনীতিতেও। বাংলার পালাবদলে তিনিও ছিলেন শাসক দলের অন্যতম সৈনিক।
পিএনএস/মো. শ্যামল ইসলাম রাসেল
মাধুরী দীক্ষিতকে প্রথম দেখা গিয়েছিল তাপসের সঙ্গেই
18-02-2020 03:13PM