জীবন বাঁচাতে পারে আদা

  12-05-2018 02:51PM

পিএনএস ডেস্ক : গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসের কারণে বছরে প্রায় ১৩ লাখ ৪০ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়। গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিস হলো পাকস্থলী ও অন্ত্রের একধরনের প্রদাহ, যা ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণে হয়।

ইতালির একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, আদা এ ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী ভূমিকা পালন করতে পারে। এমনকি তা জীবনও বাঁচাতে পারে।

ইতালির নাপোলি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রবার্তো বারনি কানানির নেতৃত্বে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। এতে প্রাপ্ত ফলাফল ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি, হেপাটোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনে (ইএসপিজিএইচএএন) উপস্থাপন করা হয়েছে। শিগগির এটি প্রকাশও হবে কোনো সাময়িকীতে।

গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসের জন্য স্যালমোনেলা ও রোটাভাইরাসের মতো ব্যাকটেরিয়া এবং নরোভাইরাসের মতো ভাইরাস দায়ী। এ ছাড়া অন্য কোনো পরজীবী প্রজাতির সংক্রমণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত খাবার ও পানি থেকে গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসের জীবাণু পেটে ঢোকে। এগুলোর সংক্রমণে বমি ও ডায়রিয়াও হয়, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের জন্য এই সমস্যা অনেক সময়ই প্রাণসংহারী হয়ে ওঠে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসের কারণে প্রতিবছর যে সংখ্যক শিশুর মৃত্যু হয়, তা মোট শিশুমৃত্যুর ১৫ শতাংশ। অধ্যাপক রবার্তো বারনি কানানি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুমৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ তীব্র গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিস। এ ক্ষেত্রে আদা যথেষ্ট উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা বমির পরিমাণ কমিয়ে আনে। ১ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে আদা এতটাই উপকারী যে, গুরুতর গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসের সমস্যায় বমির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনে এটি।

অধ্যাপক রবার্তো বারনি কানানি জানান, গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, আদায় প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে। একই সঙ্গে এটি বমিও প্রতিরোধ করতে পারে। তিনি জানান, নেপলসে একটি হাসপাতালে ১৪০টি শিশুর ওপর তাঁরা গবেষণা করেছেন। এ ক্ষেত্রে রোগী ও চিকিৎসক-উভয় পক্ষকেই অন্ধকারে রাখা হয়েছে। কোন শিশুকে ওষুধ, আর কোন শিশুকে আদার রস খাওয়ানো হচ্ছে, তা কেবল গবেষকেরাই জানতেন। ওই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলের পরই তাঁরা নিশ্চিত হতে পেরেছেন, গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসের চিকিৎসায় আদার ব্যবহার বিশেষ সুফল আনতে পারে।

এর আগেও একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী নারী বা কেমোথেরাপি নেওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে আদা বমির পরিমাণ কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন