রোজায় ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা

  21-05-2018 11:08PM

পিএনএস ডেস্ক: রোজা এলেই ইসুবগুলের ভুসির কদর বেড়ে যায়। প্রতিদিনের ইফতারের আয়োজনে ইসুবগুলের ভুসির শরবত থাকেই। এ থেকেই বোঝা যায় ইসুবগুলের ভুসির রয়েছে বেশ স্বাস্থ্য উপকারিতা। তাই শুধু রোজার সময়টাতেই নয়, ইসুবগুলের ভুসি খান সারা বছর ধরে। এতে আপনার পেটের যেকোনো সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে ৫ থেকে ১০ গ্রাম ইসবগুল নিয়ে এক কাপ ঠান্ডা বা হালকা গরম পানিতে আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে তাতে দু-তিন চামচ চিনি মিশিয়ে সকালে বাসিপেটে খেলে বা রাতে শোয়ার আগে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

কোষ্ঠবদ্ধতা পাইলসের প্রধান কারণ। তাই পাইলসের রোগীদের নিত্যদিনের ওষুধ এই ইসবগুল। প্রতি রাতে পানিতে এক টিপ ইসবগুলের ভুসি দিয়ে খেয়ে শুতে যাওয়া অভ্যাস করলে উপকার পাওয়া যায়।

যারা আমাশয়ে ভুগছেন, তাদের জন্যও ইসবগুল ভালো। ইসবগুল আমাশয়ের জীবাণু ধ্বংস করতে পারবে না, তবে বের করে দিতে পারবে। আমাশয়ের রোগীরা সকালে ও রাতে একবার শরবতের সাথে খাবেন।

কোলেস্টেরল ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন কমাতে চাইলে ইসুবগুলের ভুসি খান। পাশাপাশি টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটা এক দারুণ পথ্য।

ডায়রিয়া উপশমে বেশ উপকারে আসে ইসুবগুল ভুসি। এজন্য ৭-২০ গ্রাম ভুসি দিনে দুবার খাওয়া যেতে পারে।

যেকোনো কারণে প্রস্রাব হলুদ হয়ে জ্বালাপোড়া হলে সকালে এক গ্লাস ও বিকেলে এক গ্লাস শরবতের সাথে ইসবগুলের ভুসি খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া চলে যায়।

যেকোনো কারণে মাথা ঘোরানো রোগ হলে বা হাত- পা জ্বালাপোড়া হলে সকাল-বিকেলে এক গ্লাস আখের গুড়ের শরবতের সাথে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন