‘হাসপাতালে ডাক্তার-নার্স না পেলে কোনো ছাড় নয়’

  29-01-2019 01:20AM



পিএনএস ডেস্ক: হাসপাতালে রোগী গিয়ে ডাক্তার, নার্স না পেলে সরকার দায়ীদের কোনো ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে আবাসনব্যবস্থা ও গাড়ি বরাদ্দসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি রোগীর সেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে তিনস্তরের মনিটরিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মচারীদের উপস্থিতি, যন্ত্রপাতির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং বিভাগীয় পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হচ্ছে। মনিটরিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেলগুলো থেকে হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন কঠোর নজরদারি করা হবে।

সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগের বৃদ্ধি, প্রতিকার এবং স্বাস্থ্যখাতে জাপান-বাংলাদেশ সম্ভাব্য সহযোগিতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বেসরকারি খাতে বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ উদ্যোগ শিপ-আইচি মেডিকেল সার্ভিসেস এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান হিরোইউকি কোবায়াশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, জাইকার প্রতিনিধি হিতোশি হিরাতা বক্তৃতা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশের সব গরিব মানুষের মাঝে আগামীতে আরও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকারি-বেসরকারি খাতের সব স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ যেন দেশেই আধুনিক চিকিৎসা পায় সে লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেরও ইতিবাচক ভূমিকা জনগণ কামনা করে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে আরও দরিদ্রবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে।

বেসরকারি হাসপাতালের চার্জ ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের খরচ কমানোর জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার শুধু ব্যবসা নয়, সেবাও।

দেশ আজ পোলিও ও ধনুষ্টংকারমুক্ত হওয়ার পাশাপাশি নানান সংক্রামক রোগকে জয় করতে যাচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রামক রোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সফল। কিন্তু অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। যদিও গত ১০ বছরে দেশে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিটিউট, ডাইজেস্টিভ হাসপাতাল, নাক-কান-গলা হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতাল চালু হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী এবার প্রত্যেক বিভাগে ক্যান্সার হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে কিডনি ইউনিট স্থাপনে সরকার হাত দেবে। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির দিকে বেশি গুরুত্ব দেবে সরকার।

জাইকার সহযোগিতায় আশুলিয়ায় নির্মাণাধীন আইচি মেডিকেল গ্রুপের উদ্যোগে ৬৫০ শয্যার জাপান ইস্টওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজ এ বছরের শেষে সমাপ্ত হবে বলে আয়োজকরা জানান।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন