সাইপ্রাস নিয়ে উত্তেজনায় তুরস্কের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিলের হুমকি ইইউ’র

  24-02-2018 12:22PM


পিএনএস ডেস্ক: পূর্ব ভূমধ্যসাগরে সাইপ্রাসের গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে তুরস্কের উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে দেশটির সঙ্গে নির্ধারিত একটি সম্মেলন বাতিলের হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই উত্তেজনা আঙ্কারা ও ইইউ দেশগুলোর মধ্যে অবনতিশীল সম্পর্কের সর্বশেষ ঘটনা।

আগামী মাসে তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে।

সাইপ্রাসের অর্থনৈতিক অঞ্চলে জ্বালানি অনুসন্ধানে নিয়োজিত ইতালির ‘এনি স্পা’কে খনন কাজে তুর্কি নৌবাহিনীর বাধা দেয়ার ঘটনায় তুরস্কের কঠোর সমালোচনা করেন ইইউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক।

চলতি মাসের শুরুতে তুর্কি নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ইজিয়ান সাগরে গ্রিক কোস্ট গার্ডের একটি জাহাজকে ধাক্কা দেয়। ইজিয়ানের এই অঞ্চলটিতে আঙ্কারা তার সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে।

শুক্রবার ব্রাসেলসে ইইউ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের টাস্ক বলেন, ‘এই পদক্ষেপসমূহ ভাল প্রতিবেশীর সম্পর্কের জন্য তুরস্কের প্রতিশ্রুতি বিপরীত।

আগামী ২৬ মার্চ বুলগেরিয়ার ভারনাতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে ইইউ নেতাদের বৈঠকের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

টাস্ক বলেন, ‘তুরস্কের নেতাদের বৈঠক হবে কিনা ইইউ জাতীয় সরকার প্রধানরা কয়েকদিনের মধ্যেই একটি বৈঠকে বসে সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’

২০১৬ সালে মাঝামাঝিতে এরদোগানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পর থেকেই ইইউ এবং তুরস্কের মধ্যেকার সম্পর্কে টানাপোরেন শুরু হয়। ব্যর্থ ওই অভ্যুত্থানের পর থেকে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে সরকার। এই ঘটনায় তুর্কি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে ইইউ।

এসব তিক্ততা ইইউ সদস্যপদের জন্য তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। দেশটি ১৯৮০’র দশক থেকে ব্লকটিতে যোগদান করতে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। ২০০৫ সালে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নির্ধারিত ভারনা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি জেন-ক্লড জাঙ্কার এবং বুলগেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী বোরো বরোসভ।

১৯৭৪ সালে সাইপ্রাস তুরস্ক থেকে বিভক্ত হয়ে যায় এবং ২০০৪ সালে ইইউতে যোগদান করে। তবে, এর দক্ষিণ অংশই কেবল ইইউ’র পূর্ণ সদস্যপদের সুবিধা ভোগ করছে।

তুরস্ক সাইপ্রাসের খনন কাজের বিরোধিতা করে বলছে যে, এটি তুরস্কের অধিকারকে উপেক্ষা করা হবে। অন্যদিকে, সাইপ্রাস সরকার বলছে যে খনন করার জন্য তাদের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে এবং অনুসন্ধানটি যদি সফল হয় তবে দ্বীপটি পুনর্বিন্যস্ত করা হলে যে কোনো আয় সমানভাবে ভাগ করে নেওয়া হবে। সূত্র: ব্লুমবার্গ নিউজ

পিএনএস/আনোয়ার


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন