পাহাড়ে লুকিয়ে আছে কোটি কোটি ডলারের স্বর্ণ, হীরা, নীলকান্ত মণি

  20-04-2018 09:27AM


পিএনএস ডেস্ক: রহস্য গল্প বা উপন্যাসে গুপ্তধনের খোঁজে ক্লু নিয়ে দিনরাত গবেষণা কিংবা গুপ্তধনের সন্ধানে চষে বেড়ানো নিয়মিত চিত্র; কিন্তু বাস্তবে? হ্যাঁ এমনটাই গত কয়েক বছর ধরে চলছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঞ্চলে। এক ধনকুবের মনের খেয়ালে গুপ্তধন ভর্তি একটি বাক্স লুকিয়ে রেখেছেন পাহাড়ে। কোথায় রেখেছেন সেটি তিনি ছাড়া আর কেউ জানে না। এরপর নিজেই বলে দিয়েছেন সেটি খুঁজে পাওয়ার কিছু কু। ঘোষণা দিয়েছেন, যে খুঁজে পাবে গুপ্তধন, সেই হবে মালিক।

এমন আজব কাজটি করেছেন ধনকুবের ফরেস্ট ফেন। বর্তমানে তার বয়স ৮৭ বছর। সাত বছর আগে কোটি টাকার সোনা আর অলঙ্কারে ভরা একটি বাক্স লুকিয়ে রেখেছেন রকি পর্বতমালার গভীরে। বাক্সে আছে ২৫৬টি স্বর্ণমুদ্রা, মুরগির ডিমের আকারের অনেকগুলো স্বর্ণের টুকরো, রুবি, এমারেল্ড, নীলকান্তমণি ও হীরার জিনিসপত্র।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ফরেস্ট ফেন নিজের স্ত্রীর সাথে সান্টা ফে-তে পাড়ি জমান ১৯৭০ সালে। এরই মধ্যে ১৯৮৮ সালে ফেনের কিডনিতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ডাক্তাররাও বলেন যে, তার বাঁচার আশা খুবই কম। আর ঠিক সে সময়ই ফেনের মাথায় পাহাড়ের মধ্যে কোনো জায়গায় নিজের কিছু সম্পদ লুকিয়ে রাখার চিন্তা খেলে। প্রায় এক বর্গফুট আয়তনের একটি বাক্স জোগাড় করে তার মধ্যে হীরা-জহরত ভরে চলে যান রকি পর্বতমালায়। লুকিয়ে রেখেছেন এর কোনো এক জায়গায়। এরপর নিজেই বলে দিয়েছেন কিছু কু।

স্মৃতিকথাবিষয়ক একটি বইয়ে ফেন ২৪ লাইনের এক কবিতায় বলে দিয়েছেন গুপ্তধন খোঁজার কিছু কু। কবিতাটি শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। সেই থেকে অনেক মানুষ রকি পর্বতমালা চষে বেড়িয়েছে গুপ্তধনের সন্ধানে; কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ খুঁজে পায়নি সেটি। আসলে কেউ জানে না তিন হাজার মাইল এলাকা বিস্তৃত বিশাল রকি পর্বতমালার কোন অংশে সিন্দুকটি আছে। ফেন রহস্য করে বলেছেন, কলোরাডো থেকে মন্টানা, নিউ মেক্সিকো বা ওয়াইয়োমিং যেকোনো অঙ্গরাজ্যে সেটি থাকতে পারে। ফেন জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ মানুষ তার গুপ্তধনের সন্ধানে চষে বেড়াচ্ছে। তবে কেউ যদি কোনো দিন সেটি খুঁজেও না পায় তাতেও তার কোনো আফসোস থাকবে না। অবশ্য এমন অনেকে আছেন যারা মনে করেন, গুপ্তধন লুকিয়ে রাখার গল্প স্রেফ ভাঁওতাবাজি। আলোচিত হওয়ার জন্যই এমন ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আবার অনেকেই আছেন যারা এখনো নিয়মিত খুঁজে বেড়ান সেই গুপ্তধন। মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের এক স্টিমবোট চালক বলেন, প্রতি রাতেই আমি ইন্টারনেটে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করি। অনলাইনে এই অনুসন্ধাকারীরদের নিয়ে একটি ফোরামও গঠিত হয়েছে।

ফেন জানিয়েছেন, প্রতিদিন কমপক্ষে এক শ’ ই-মেইল আসে তার কাছে এ সংক্রান্ত অনুরোধ নিয়ে। বেশ কয়েকবার বাড়ি এসে অজ্ঞাত লোকেরা তাকে হুমকিও দিয়েছে গুপ্তধনের সন্ধান দেয়ার জন্য। এখন পর্যন্ত গুপ্তধন সন্ধান করতে রকি পর্বতমালায় গিয়ে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর অনুসন্ধাকারীদের নিরাপত্তরা জন্য ব্লগে আরো কিছু কু দিয়ে জানিয়েছেন, বিপজ্জনক এলাকায় গুপ্তধন পাওয়া যাবে না। সূত্র : সিএনবিসি নিউজ

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন