চকলেটকে স্বর্ণে রূপান্তরিত করবে ঘানার অবৈধ খনি!

  23-05-2018 01:01PM

পিএনএস ডেস্ক: ঘানার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে কোনো গাছ নেই। এই স্থানে এক সময় ছিল কোকো গাছ। বলতে গেলে বনের মতো ছিল এর বিস্তার।

একসময় সেখানকার নারীদের জীবিকার প্রধান উৎস এই কোকো হলেও এখন সেলাই মেশিনে কাপড় সেলাই করে জীবন চালাতে হচ্ছে তাদের। কেননা আগে যেখানে কোকো চাষ হতো সেখানে এখন বিশাল এলাকাজুড়ে গর্ত খোড়া হয়েছে স্বর্ণখনির জন্য।

এখন প্রশ্ন উঠেছে এই অবৈধভাবে গড়ে তোলা গর্ত কি চকলেটকে স্বর্ণে রূপান্তরিত করবে?

ঘানায় যে কোকোর চাষ হয় একে স্থানীয়ভাবে বলা হয় গ্যালামসে। পরে এই বনাঞ্চলে চীনা বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে অবৈধ স্বর্ণখনি স্থাপন করা হয়। কাওয়া বারফোর ২৫ বছর ধরে কোকো চাষ করছেন। তবে এখন তিনি নিজের কষ্টে গড়া এই কোকো বনের একটি অংশ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। দরিদ্রতার কারণে নিজেকে নিরুপায় বলে আক্ষেপ তিনি।

বারফোর যদি তার জমিতে কোকো চাষ করেন তাহলে বছরে এক হাজার ডলার আয় হতো। তবে জমি বিক্রি করে দেওয়ায় তিনি ৪৫ হাজার ডলার একসঙ্গে পাবেন।

ঘানার এই অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে চকলেটের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এর আরেকটা ক্ষতির দিকও রয়েছে। মারাত্মক দূষণের মুখে পড়েছে সেখানকার পরিবেশ। সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আর খনির পিটগুলো থাকা পানিতে যে ক্ষতিকর মারকারি, লেড, সায়ানাইড রয়েছে সেই বিষাক্ত পানি গিয়ে মিশছে পার্শ্ববর্তী নদীতে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব খনি বন উজাড় করার পাশাপাশি তাদের পানির উৎস ধ্বংস করে দিচ্ছে। দূষণের কারণে মাটিতে কোনো ফসল ফলানো যাচ্ছে না।

বিশ্বে যত কোকো উৎপাদন হয় তার ২০ শতাংশ উৎপাদন হয় গানায়।

ইউনিভার্সিটি অব গানার একজন অধ্যাপক ড্যানিয়েল সারপং বলেন, যদি এই খনি এখনই বন্ধ করা না হয় তাহলে আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ কোকো উৎপাদন করা সম্ভব হবে না। সুতরাং যারা চকলেট পছন্দ করেন তাদের ওপরেও প্রভাব ফেলবে এই সংকট।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন