পিএনএস ডেস্ক : আবারও মধুচক্রের আসর ভাঙল পুলিশ। সিমলায় একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে মধুচক্রের অভিযোগে সাত মহিলাসহ হোটেল মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার হঠাৎই কলকাতার সিমলায় একাধিক হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। যেখানে রমরমিয়ে মধুচক্রের আসর চলত বলে অভিযোগ পায় পুলিশ। সেই খবর পেয়েই হঠাত করেই সেখানে হানা দেয় পুলিশ।
কীভাবে চলে মধুচক্রের কারবার? পুলিশ সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে সিকিম শহরে আনাছে-কানাচে রমরমিয়ে চলছে মধুচক্র। সক্রিয় রয়েছে পুলিশও। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে একটি মধুচক্রের আসর ভেঙেছে পুলিশ। কিন্তু, পুলিশি নজর এড়িয়ে চলছে কারবার।
জানা যায়, পর্যটকেরা হোটেল সঙ্গী জোগাড় করে দেওয়ার কথা বললে ফোন মারফৎ যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় দেহ ব্যবসায়ী চক্রের পাণ্ডাদের সঙ্গে। তারাই হোয়াটঅ্যাপসের মাধ্যমে সুন্দরী মহিলাদের ছবি পাঠিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে কোন মহিলার জন্যে কত টাকা খরচ পড়বে তা বাতলে দেওয়া হয়। তবে তারসঙ্গে যুক্ত হয় হোটেলের কমিশন। যে মহিলাকে পছন্দ হবে হোটেল এবং রুম নম্বর বলে দিলেই পৌঁছে যাবেন সেই মহিলা।
পর্যটন কেন্দ্রে পুলিশি অভিযানের ভয়ে দেহ ব্যবসায়ীদের রাখা হয় না। তাদের এজেন্টরা টোপ রাখে পর্যটকদের সামনে। তারপর অর্ডার মত সানি, ক্যাটরিনারা পৌঁছে যায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে। তবে সবার দর এক নয়। সিজন অনুযায়ী ওঠানামা করে। পার্টি বা ক্লায়েন্ট অনুযায়ীও বটে। আবার সব সময় যে রাত ফুরোলেই বাত ফুরোয় এমনটা নয়।
পর্যটকরা চাইলে দু’তিনদিনের দিঘা ভ্রমণে সর্বক্ষণের সঙ্গী হতে পারেন সানি, ক্যাটরিনা কিংবা প্রিয়াঙ্কারা।
পিএনএস/এএ
এক ফোনেই ক্লায়ন্টের কাছে পৌঁছে যায় তারা!
11-06-2018 11:09AM