শরণার্থী শিশুদের দেখতে গিয়ে বিতর্কে মেলানিয়া ট্রাম্প

  22-06-2018 11:25AM

পিএনএস ডেস্ক : টেক্সাসে শরণার্থী শিশুদের জন্য এক অভিবাসী আটক সেন্টার পরদর্শনে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। এবার বিতর্ক তাঁর কোর্টের পিছনে লেখা একটি ক্যাপশন ঘিরে।

বৃহস্পতিবার আচমকা টেক্সাসে প্রতিকূলতার মুখে পরা শিশুদের দেখতে যান মেলানিয়া ট্রাম্প। টেক্সাসের ম্যাকালেনের এই কেন্দ্রে কয়েক ঘণ্টা ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্যসচিব অ্যালেক্স আজ়ার। অভিবাসী আটক কেন্দ্রের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া প্রশ্ন ছুড়ে দেন— ‘‘এই সব বাচ্চাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে আমি কী করতে পারি?’’

ওই শিশুদের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে টেযাসে গিয়েছিলেন মেলানিয়া ট্রাম্প। যাওয়ার সময়ে তাঁর পরণের কোর্টের পিছনে লেখা ছিল, “I really don’t care do u?” টেক্সাসগামী বিমানে ওঠার সময়ে মার্কিন ফার্স্ট লেডির পিছনে লেখা ক্যাপশ্নটি দেখতে পাওয়া যায়। যা থেকে শুরু হয় সমালোচনা।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। বলা হতে থাকে যে টেক্সাসে যাওয়ার সময় প্রেসিডেন্ত পত্নীর জ্যাকেটের পিছনের ক্যাপশনের অর্থ কী? এর পিছনে কী কোনও গোপন বার্তা রয়েছে? কাদের গুরুত্ব দিতে চাইছেন না মার্কিন ফার্স্ট লেডি? আসলে কী ওই শিশুদের নিয়ে একেবারেই ভাবিত নন মেলানিয়া ট্রাম্প?

এই রকমের নানা তত্ত্ব উঠে আসতে থাকে মেলানিয়া ট্রাম্পের ৩৯ ডলারের কোট ঘিরে। যদিও তাঁর মুখপাত্র জানিয়ে দেয় যে মার্কিন ফার্স্ট লেডির কোটের ক্যাপশনের মধ্যে কোনও গোপন বার্তা নেই। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করে ট্যুইট করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসি নীতির কারণেই। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে দেশটির সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পর এই শিশুদের তাদের মা-বাবার কাছ থেকে সরিয়ে ওই শিবিরে রাখা হয়। যদিও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে আসেন।

পরে ওই শিশুদের নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেন মার্কিন প্রেসিদেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই নির্দেশে স্বাক্ষর করার পর তিনি বলেন, “অভিবাসী শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে দেখে আমার স্ত্রী মেলানিয়া খুবই ভেঙে পড়েছেন। এ ভাবে বাচ্চাদের আলাদা করার বিরোধিতা করেছে আমার মেয়ে ইভাঙ্কাও। আমিও এ ভাবে বাচ্চাদের বিচ্ছিন্ন করার বিরোধী।”

পিএনএস/জে এ /

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন