গুহার ভেতরে উদ্ধার অভিযানে বাস্তবের নায়ক তারা

  11-07-2018 02:19PM

পিএনএস ডেস্ক : ফিরে না পাওয়ার আশঙ্কায় কালো মেঘে এতদিন ছেয়ে ছিল থাইল্যান্ডের আকাশ। উদ্বেগ ছিল বিশ্বজুড়েও। মঙ্গল কামনা আর প্রার্থনার আয়োজন চলে বিভিন্ন দেশে। দীর্ঘ ১৮ দিন পর মঙ্গলবার সেই প্রার্থনার উত্তর মেলে। দেশটির অন্যতম দীর্ঘ গুহা থাম লুয়াং থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় ‘ওয়াইল্ড বোয়ার’ নামের টিমের খুদে ফুটবলারদের ১২ সদস্য ও টিম কোচের।

শ্বাসরুদ্ধকর এই উদ্ধার অভিযানে প্রায় ৯০ জন ডুবুরির একটি দল কাজ করে। এদের মধ্যে ৫০ জনই বিভিন্ন দেশ থেকে গিয়েছিলেন। খবর বিবিসির।

বাস্তবের নায়ক এই ডুবুরিদের একজন হচ্ছেন, বেন রেমেন্যান্ট। এই বেলজিয়ান নাগরিক দেশে একটি ডুবুরির সরঞ্জামের দোকান পরিচালনা করেন। ডেনমার্কের নাগরিক ক্লস রাসমুসেন এমনই আরেকজন ডুবুরি। তিনি রেমেন্যান্টের সঙ্গেই কাজ করেন।

আরেকজন যান ফিনল্যান্ড থেকে। তার নাম মিকো পাসি। তিনি এই উদ্ধার অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক ডুবুরি হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ওই গুহার ভেতরের কিছু ছবি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন।

তার মতোই আরেক স্বেচ্ছাসেবক ডুবুরি ডেন ইভান কারাজিচ। তিনি ডেনমার্কের নাগরিক। মিকোর সঙ্গে তিনি থাইল্যান্ডের ছোট আইল্যান্ড কোহ তাওতে একটি ডু্বুরি বা ডাইভিংয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করেন। তারা দুজনই মূলত ডুবুরির প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে একটি হল কেইভ ডাইভিং বা গুহার ভেতরে ডুব দিয়ে চলা।

একই উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছেন রিচার্ড হ্যারিস। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও ডুবুরি হিসেবেও বেশ পারদর্শী। তিনি ঝুঁকি নিয়ে ওই গুহার ভেতরে আটকে পড়াদের কাছে যান। উদ্ধার অভিযান শুরুর আগেই তাদের জরুরি চিকিৎসা দিতে।

নিজের প্রায় ১০ বছরের ডুবুরির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি এই অভিযানে নামেন। তিনি একইসঙ্গে একজন এক্সিপিডিশন মেডিসিন এবং উদ্ধার অভিযানে অভিজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞ। যে ব্রিটিশ ডুবুরি সর্ব প্রথম ওই শিশুদের খোঁজ পান। তার অনুরোধে তিনি এই অভিযানে যোগ দেন।

তবে এই উদ্ধার অভিযানে থাই নৌবাহিনীর সাবেক এক ডুবুরি মারা যান। সামান গুনান নামে ওই ব্যক্তি গুহার মধ্যে দিয়ে কিশোরদের অক্সিজেন ট্যাঙ্ক দিয়ে ফেরার পথে মারা যান।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন