হাইকোর্টে যাচ্ছেন নওয়াজ-মারিয়াম

  14-07-2018 04:19PM

পিএনএস ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে মারিয়ামকে দেয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা। শনিবার সশরীরে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির হয়ে ঘোষিত সাজাকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করার কথা রয়েছে নওয়াজ ও মারিয়ামের। নওয়াজের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতারা আশা করছেন, হাইকোর্টে হাজির হলেই নওয়াজ-মরিয়মের জামিন হয়ে যাবে বলে দলের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।

লন্ডনে কেনা বিলাসবহুল চারটি ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধে দেয়া অর্থের উৎস দেখাতে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে ৬ জুলাই নওয়াজ শরিফ আর তার মেয়ে মারিয়ামকে কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায় ঘোষণার সময় লন্ডনে অবস্থানরত পিতা ও কন্যা শুক্রবার দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে নওয়াজকে রাওয়ালপিন্ডির রিয়ালের কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং মারিয়াম ‘শিহালা ট্রেনিং কলেজ রেস্ট হাউস’-এ স্থাপিত সাব-জেলে রাখা হয়েছে।

পাকিস্তানে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর আইনে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আগাম জামিন কিংবা আপিল আবেদনের সুযোগ নেই। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পথ তাই হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হওয়া। উচ্চ আদালতের কাছে আপিল কিংবা জামিনের আর্জি পেশ করতে হলে তাই গ্রেপ্তার বরণ আবশ্যক। আইনি লড়াইয়ের জন্য গ্রেপ্তার হওয়া ছাড়া নওয়াজ ও তার মেয়ের আর কোনো পথ ছিল না।

প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকে লন্ডনে পার্ক লেনের অ্যাভেনফিল্ড হাউসে চারটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনে নওয়াজের পরিবার। এ নিয়ে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। নওয়াজ শরিফ বরাবরই দুর্নীতির এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছেন। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট কেনার অর্থের বৈধ উৎস দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন নওয়াজ। ঘোষিত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার দায়ে নওয়াজকে ১০ বছর ও তার বাবাকে সম্পদ গোপনে সহায়তা করার জন্য মারিয়ামকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে মারিয়ামকে আরও এক বছর সাজা দেয় আদালত। তবে ওই দুই সাজার মেয়াদ এক সঙ্গে কার্যকর করার উল্লেখ ছিল রায়ে। মরিয়মের স্বামী ও নওয়াজের মেয়ের জামাই অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ সফদরকেও আদালত এক বছরের সাজা দিয়েছে। সফদর আদিয়ালা জেলে অন্তরীণ রয়েছেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন