গণধর্ষণের পর মহিলাকে মন্দিরে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

  15-07-2018 06:00PM

পিএনএস ডেস্ক : কয়েক মাস ধরেই মহিলাকে উত্যক্ত করছিল তার গ্রামের জনা পাঁচেক লোক। কাজের সূত্রে দিনমজুর স্বামী থাকেন গাজিয়াবাদে। আর সেই সুযোগেই রাতের অন্ধকারে মহিলার বাড়িতে ঢুকে তাকে গণধর্ষণ করল ওই পাঁচ জন। এরপর তার বাড়ির সামনে একটি মন্দিরে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল তাকে। শিউরে ওঠার মতো এই ঘটনা ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলায়। গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই সন্তানের মা বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা রাজপুরা থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে থাকতেন।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকেই এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই দুর্যোগের রাতেই বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে ওই পাঁচ জন। এরপর মহিলাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে তার ওপর চলে গণধর্ষণ।
রাজপুরা থানার আধিকারিক অরুণ কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার পর ওই পাঁচ জন চলে গেলে প্রথমেই স্বামীকে ফোন করার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে এরপর নিজের ভাইকেও ফোন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অবশেষে এক আত্মীয়কে ফোন করে গোটা ঘটনাটা জানান তিনি। ফোনেই অভিযুক্তদের নাম-পরিচয়ও জানিয়ে দেন।

এর কিছুক্ষণ পর ফের ওই বাড়িতে ফিরে আসে ওই পাঁচ জন। এ বার ওই মহিলাকে ঘর থেকে টানতে টানতে বার করে এনে কাছেই একটি মন্দিরে নিয়ে যায়। সেখানে মহিলার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার চিৎকার শুনেও গ্রামবাসীরা কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ।

মহিলার স্বামীর অভিযোগ, মৃত্যুর আগে পুলিশকে ফোন করারও চেষ্টা করেছিলেন তার স্ত্রী। কিন্তু, কোনও সাহায্যই মেলেনি। গোটা ঘটনায় গ্রামবাসী এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। এডিজি প্রেম প্রকাশ জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তে নেমে ওই মহিলার ফোনকলের রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই ওই গ্রামেরই আরম সিংহ, মহাবীর, চরণ সিংহ, গুল্লু এবং কুমারপালের নাম প্রকাশ্যে আসে। এরপর একটি এফআইআর দায়ের করে ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ করে খুন, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন