পিএনএস ডেস্ক: ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর তুরস্কে দুই বছর বলবৎ থাকা জরুরি অবস্থা আগামী ১৮ জুলাই তুলে নেয়া হবে। নতুন নির্বাহী প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিতে সদ্য গঠিত মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে বহু প্রতীক্ষিত এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্ক সেনাবাহিনীর একটি অংশ অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটি ব্যর্থ করে দেয় তুরস্কের জনগণ। এরপর জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।
ওই জরুরি অবস্থা জারি করার পর সেটির মেয়াদ সাতবার বৃদ্ধি করা হয়। জরুরি অবস্থার কারণে নতুন আইন পাস ও অধিকার এবং স্বাধীনতা স্থগিত করার ক্ষেত্রে পার্লামেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
এসময় ফেতুল্লাহ গুলেনের নেটওয়ার্ক ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে যোগসাজশের অভিযোগে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া একই অভিযোগে এক হাজার তিনশ’ অ্যাসোসিয়েশন বন্ধ করে দেয়া হয়।
তুরস্কের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো অনেক দিন ধরেই জরুরি অবস্থা তুলে নিতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নও তুরস্কে জরুরি অবস্থা বলবৎ থাকায় সেটির সমালোচনা করে বলেছে, এর মাধ্যমে বিভিন্ন নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় দুই বছর ধরে চলা জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এরদোগান। ২৪ জুন তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পিএনএস/আনোয়ার
তুরস্ক নতুন যুগে, নতুন অগ্রযাত্রায়
16-07-2018 12:50PM