পিএনএস ডেস্ক : শাহ সিমেন্ট কোম্পানির অপহৃত বিক্রয় প্রতিনিধি আ. হক রাজকে (৬১) গতকাল রোববার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। একটি নির্মাণ প্রকল্পে সিমেন্ট সরবরাহের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে গেন্ডারিয়া এলাকা থেকে তাঁকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিং করে পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ফরিদউদ্দিন এসব তথ্য জানান। রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সবুজ (৪২), বশির (৩০), ফারুক ( ৩৬), লাভলু (৪০) ও জালাল মিয়া (৩৬)।
ব্রিফিংয়ে ফরিদউদ্দিন বলেন, ১২ জুলাই একটি নির্মাণ প্রকল্পে সিমেন্ট সরবরাহের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আশা নামের একটি মেয়ে আ. হক রাজকে ফোন করেন। ফোনে তাঁকে গেন্ডারিয়া এলাকার সোনালী নূপুর কমিউনিটি সেন্টারে আসতে বলা হয়। সেখান থেকে নির্মাণ প্রকল্পের লোকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য রাজকে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওই বাড়িতে আসার পর গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামি রাজকে আটকে রাখেন।
সেখানে তাঁকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে আনতে চাপ দিতে থাকেন। দুই দিন আটকে রাখার পর রাজকে টঙ্গীর কামারপাড়ায় আসামি জালাল মিয়ার বাড়িতে আনা হয়।
সেখানেও মুক্তিপণের জন্য তাঁকে মারধর করা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে গতকাল রাত নয়টার দিকে জালাল মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রাজকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে তাঁকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনের মধ্যে বশির, ফারুক ও জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই তিনজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টঙ্গীর আরেকটি এলাকা থেকে সবুজ ও লাভলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আশা নামের ওই মেয়েকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ডিসি ফরিদউদ্দিন।
পিএনএস/জে এ
সিমেন্ট কেনার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ, অতঃপর...!
16-07-2018 05:39PM