‘ওয়াশিংটন আগুন নিয়ে খেলছে’

  22-09-2018 08:05AM


পিএনএস ডেস্ক: রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনার কারণে চীনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া ও চীন উভয়েই। মস্কো বলছে যে ওয়াশিংটন আগুন নিয়ে খেলছে। খবর বিবিসি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগেই হুমকি দিয়েছিল ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকারী রাশিয়ার কাছ থেকে কোন দেশ অস্ত্র কিনলে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

সম্প্রতি চীন রাশিয়ার কাছ থেকে সুখই যুদ্ধ বিমান এবং ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণ-যোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে। তাই চীনের সেনাবাহিনীর ক্রয় শাখা এখন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন।

এসবের মধ্যে রয়েছে ১০টি সুখই যুদ্ধবিমান এবং এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র। এই বিভাগ এবং তার পরিচালক লি শাংফু এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন রপ্তানি লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবেন না এবং মার্কিন অর্থ ব্যবস্থায় অংশ নিতে পারবেন না।

ওয়াশিংটন বলছে, রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনে চীন রাশিয়ার উপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে।

২০১৪ সালে ইউক্রেনে মস্কোর হস্তক্ষেপের জবাবে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞায় তখন যোগ দেয়নি চীন।

এতে ক্ষুব্ধ চীনের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, তারা ট্রাম্প প্রশাসনকে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার জন্য জোর আহ্বান জানাচ্ছেন - অন্যথায় তাদেরকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

বেইজিং-এ বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া খুবই কঠোর। কিন্তু বেইজিং কতোটা ক্ষুব্ধ হয়েছে সেটা পরিষ্কার হবে ওয়াশিংটনের সাথে তাদের সম্পর্ক কী দাঁড়াবে সেটা প্রকাশ করার পর।

চীনও এখন উন্নত মানের সামরিক অস্ত্র তৈরি করছে। কিন্তু তারপরেও তারা আমেরিকার কাছে থেকে সর্বাধুনিক সমরাস্ত্র কিনতে আগ্রহী।

এবিষয়ে রাশিয়া আগে খুব একটা আগ্রহী ছিল না। কিন্তু এখন এই প্রযুক্তি বেইজিং-এর সাথে শেয়ার করতে মস্কো আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

বিবিসির বিশ্লেষক জোনাথন মার্কাস বলছেন, এখানে আসল লক্ষ্য রাশিয়া - চীন নয়। ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের ফলে এসব বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে এমন সম্ভাবনা কম, বরং এর ফলে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে - চীন ও রাশিয়ার সহযোগিতা আরো বেড়ে যেতে পারে,’ বলেন তিনি।

‘কারণ চীন ও রাশিয়া উভয়ের সাথেই এখন মার্কিন সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হচ্ছে - আর এ দুটি দেশই ওয়াশিংটনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ঠেকাতে চায়’।

চীন ও রাশিয়া মিলে সম্প্রতি যৌথ মহড়াও চালিয়েছে যাকে শীতল যুদ্ধ অবসানের পর সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন