‘আপনার স্ত্রী-ছেলেকে গুলি করেছি’, বিচারককে তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী!

  14-10-2018 04:11PM

পিএনএস ডেস্ক : ফোনটা বেজে উঠতেই রিসিভ করেছিলেন ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের গুরুগ্রামে অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক কৃষ্ণকান্ত শর্মা। ফোনের ও পার থেকে শুধু কয়েকটা কথা, ‘আপনার স্ত্রী-ছেলেকে গুলি করেছি’। তারপরই ফোনটা কেটে গেল। ফোনটা করেছিলেন বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী মহীপাল সিংহ।

গত দু’বছর ধরে বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করছেন মহীপাল। শনিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে শপিং করতে যাবেন বলে ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে ছিলেন বিচারকের স্ত্রী রীতু। সঙ্গে মহীপালও ছিলেন। গুরুগ্রামের সেক্টর ৪৯-এর সামনে বাজারে গাড়ি থেকে নামার পরই বিচারকের স্ত্রী রীতু ও ছেলে ধ্রুবকে লক্ষ্য করে গুলি চালান মহীপাল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহীপাল তার সার্ভিস রিভলভার থেকে প্রথমে বিচারকের স্ত্রীর বুকে গুলি করেন, তারপর ছেলের মাথা লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েন।ধ্রুবের মাথায়, কান ও ঘাড়ে গুলি লাগে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে। এর পরই ধ্রুবকে টেনে গাড়ির ভিতর ঢোকানোর চেষ্টা করেন মহীপাল। কিন্তু না পেরে তাদের দু’জনকে রাস্তায় ফেলে রেখেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন। যদিও ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে গুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বিচারকের স্ত্রী-ছেলেকে গুলি করার পর মা এবং আরও পরিচিত কয়েকজনকে ফোন করে বিষয়টি জানান মহীপাল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মহীপাল। কেন গুলি করলেন তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের বাসিন্দা মহীপাল। বাড়িতে মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে। তার স্ত্রী শিক্ষিকা। গ্রামবাসীরা জানান, মামাবাড়িতেই মানুষ হয়েছেন মহীপাল। বাবা মদ্যপ হওয়ার কারণে তার জন্মের আগেই মা বাবার বাড়িতে চলে আসেন। সেখানেই জন্ম হয় মহীপালের। ছোটবেলা থেকেই খুব রাগী স্বভাবের তিনি।

২০০৭ সালে হরিয়ানা পুলিশে যোগ দেন মহীপাল। কিন্তু গ্রামের ছেলে যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছে সেটা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন