উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর বৈঠক

  17-10-2018 11:01AM


পিএনএস ডেস্ক: সীমান্ত অস্ত্রমুক্ত করার বিষয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘ কমান্ডকে সঙ্গে নিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর মধ্যে প্রথম ধাপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মঙ্গলবারের ওই আলোচনা হয় বলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স’র।

গত মাসে পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতিসংঘ কমান্ডকে সঙ্গে নিয়ে এই ত্রি-পাক্ষিক আলোচনার জন্য রাজি হয় দুই কোরিয়া। সীমান্ত অস্ত্রমুক্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন করা মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ও অসামরিকীকৃত অঞ্চল তত্ত্বাবধান নিয়ে আলোচনা করেছেন।

নতুন প্রস্তাবে সামরিক মহড়া বন্ধ করা, সীমান্তের কাছে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা এবং ‘ডিমিলিটারাইজড জোন’ থেকে ক্রমান্বয়ে স্থলমাইন ও প্রহরী প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে। প্রথম ধাপের আলোচনার পর বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্তবর্তী পানমুনজুম গ্রামে কর্নেল পর্যায়ের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে, এই বছরের মধ্যে দুই কোরিয়া সামরিক সীমানার এক কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ১১টি তল্লাশি চৌকি প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে।

এ মাসে দুই কোরিয়াই সীমান্ত এলাকাগুলো থেকে স্থলমাইন অপসারণ শুরু করেছে। এছাড়া ১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধে নিখোঁজ সেনাদের দেহাবশেষ উত্তোলন করে নিয়ে আসার জন্য আগামী এপ্রিল মাসে সড়ক নির্মাণের পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, দুই পক্ষই জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়া থেকে সব আগ্নেয়াস্ত্র প্রত্যাহার করবে। সেখানে দুই পক্ষের ৩৫ জন করে সেনা সদস্য থাকবে আর তারা নিজেদের নজরদারি যন্ত্রপাতির তথ্য ভাগাভাগি করবে। দুই দেশের নাগরিকরাই সেখানে মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এক মাসের মধ্যে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর এটা হলে সীমান্ত এলাকাটি ‘শান্তি ও পুনর্মিলনের স্থানে’ রূপান্তরিত হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সামরিক সূত্র বলেছে, ‘বেশিরভাগ কার্যক্রমই দুই কোরিয়া মিলে করবে। তবে সেখানে জাতিসংঘ কমান্ডের সহযোগিতা থাকবে। কারণ সেখানে মার্কিন সংশ্লিষ্টতা আছে আর তার আওতায় মিলিটারি আর্মিস্টিক কমিশনের আওতায় কাজ করে।’

এর আগে সোমবার দুই কোরিয়া পুনরায় রেল ও সড়ক সংযোগ চালুর করার ব্যাপারে একমত হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এত দ্রুত সম্পর্কোন্নয়ন করার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। কারণ, তাদের আশঙ্কা এতে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন