আস্থা ভোটে টিকে গেল থেরেসা মে’র সরকার

  17-01-2019 04:02AM

পিএনএস ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে ব্রেক্সিট চুক্তিতে পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ভোটে শোচনীয় ভাবে হেরে গেলেও আস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

গতকালের ভোটের পরই লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিন সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন।

বুধবার দেখা যায়, থেরেসা মের সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৩২৫ জন পার্লামেন্ট সদস্য আর সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন ৩০৬ জন। ১৯ ভোটে জয় নিয়ে টিকে থাকলেন থেরেসা মে।

এর আগে গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি দেশটির পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হয়। পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে চুক্তির পক্ষে ভোট পড়ে ২০২টি এবং চুক্তির বিপেক্ষ ভোট পড়ে ৪৩২টি।

টেরেসার রক্ষণশীল দলের অনেক এমপি, লেবার পার্টি, ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের অনেক এমপি চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেন।

ব্রেক্সিটের সময় ঘনিয়ে আসছে। আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার কথা। অর্থাৎ ব্রিটেনের হাতে আছে আর মাত্র ৭৩ দিন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের অপসারণ, যা সংক্ষেপে ব্রেক্সিট নামে পরিচিত। ব্রিটেন ১৯৭৩ সালে ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটির সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এর লক্ষ্য ছিল সুলভমূল্যে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য ও অভিন্ন বাজারসুবিধা। ১৯৯৩ সালে ইইউ নিজস্ব মুদ্রা, নীতিমালা, নাগরিকদের জন্য সীমানামুক্ত বিচরণসহ যুক্ত করাসহ অনেকগুলো পরিবর্তন আনে। কিন্তু অনেক ব্রিটিশ নাগরিক ব্রিটেনের ইইউর বিধি-নিষেধ মেনে চলা নিয়ে বেশ নাখোশ।

তাই ইইউ থেকে ব্রিটিশ জনগণের থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বা ব্রেক্সিট নিয়ে ২০১৬ সালের ২৩ জুন এক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের ১১৮ জন আইনপ্রণেতা সরকারের ব্রেক্সিট চুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ১০টি আসন নিয়ে সরকারের শরিক ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন্স্টি পার্টিও (ডিইউপি) ব্রেক্সিট চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু আস্থা ভোটে এরা সকলেই থেরেসা মে’র সরকারের প্রতি সমর্থন দেন। যে কারণে আস্থা ভোটে উতরে গেছে থেরেসা মে’র সরকার।



এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ এর সাংসদরা থেরেসা মে’র নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা এনেছিলেন। দলীয় ওই আস্থা ভোটেও পার পেয়ে যান থেরেসা মে।

প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সম্পাদিত ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে নানা বিরোধ রয়েছে। শরিক দল ডিইউপিও ওই চুক্তির বিরোধী। কিন্তু চুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিলেও সরকারের পক্ষে তাদের আস্থা অবিচল। তারা চান না থেরেসা মে’র সরকারের পতন হোক এবং ক্ষমতাচ্যুত হোক কনজারভেটিভ দল। আর ক্ষমতাসীনরা এককাট্টা থাকলে বিরোধীদের পক্ষে অনাস্থা ভোটে বিজয়ী হওয়া সম্ভব নয় বলে আগেই অনুমেয় ছিল।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন