ফ্রান্সে পুজীবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন দাবানলে রুপ

  20-01-2019 06:48AM



পিএনএস ডেস্ক: ফ্রান্সে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে আন্দোলন শুরু হলেও এর ব্যাপকতা ও তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে দাবিদাওয়া।

তাই সরকার পিছু হটে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করলেও আন্দোলন থামার কোনো লক্ষণ নেই। প্রতি শনিবার ছুটির দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোনের ডাক দেয়া হয়।

আন্দোলনকারীরা সরকারের নানা সংস্কার কর্মসূচির বিরুদ্ধে, অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন। তাঁরা শুধু মেক্রন সরকারকে হটাতে চাইছেন না, বদলাতে চাইছেন বৈষম্যভিত্তিক পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে।

ফ্রান্সে জ্বালানি তেলের ওপর কর বাড়ানোর প্রতিবাদে শুরু হওয়া আন্দোলন রুপ নিয়েছে প্রতিবাদ বিক্ষোভে। এ আন্দোলন এখন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তেলের দাম কমানোর দাবি ছাপিয়ে দাবি উঠছে, ‘ধনীদের সরকার’ হটাও, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পাল্টাও।

১৭ নভেম্বর থেকে ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা সড়ক-মহাসড়কে অবরোধ গড়ে তোলেন। তেলের ডিপো, পেট্রলপাম্পে হামলা চালান, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। তারা হামলা চালান প্যারিসের অভিজাত এলাকার দামি দামি দোকানপাটে, ব্যাংকে। পুড়িয়ে দেন দামি দামি গাড়ি।

একজন আন্দোলনকারী জানান, আজকে দেশ চালাচ্ছে ধনীরা। তাই ধনী গরীবের যে বৈষম্য তৈরী হচ্ছে তার জন্য সবচেয়ে বেশী গতিগ্রস্থ হচ্ছে গরীব।

আন্দোলন দমন করার জন্য সরকার সারা দেশে প্রায় ৯০ হাজার রায়ট পুলিশ নামিয়েছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠি, গুলি (রাবার বুলেট), কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে নির্বিচারে। শত শত আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তারও করেছে।
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ফ্রান্সের অধিকাংশ লোকই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তবে আন্দোলনের কারণে পর্যটক কমে গেছে প্যারিসে, ক্ষতির সম্মুখিন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশি ব্যাবসায়ী রাশেদ পারভেজ পিটু বলেন, গত দুইমাস ধরে কোন ব্যবসা নেই। পর্যটকের সংখ্যাও কমে গেছে তারপর আয়কর বাড়ানো হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে কি হবে সেটা বলতে পারছি না।

নেতৃত্বহীন ও সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্যহীন, স্বতঃস্ফূর্ত এ আন্দোলন বেশি দূর এগোতে না পারলেও বারবার ফিরে আসবে। ফ্রান্সে না হলে অন্য দেশে, ভিন্ন রূপে। ইতিমধ্যে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে, নেদারল্যান্ডসে এমনকি সুদূর ইরাকের বসরায় বিক্ষোভকারীরা নানা দাবিতে গায়ে হলুদ জেকেট পড়ে রাস্তায় নেমেছেন।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন