সীমান্তে আটক ৩১ রোহিঙ্গাকে জেলে

  24-01-2019 02:20AM

পিএনএস ডেস্ক: বাংলাদেশে-ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে মঙ্গলবার শিশু-নারীসহ ৩১ রোহিঙ্গাকে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। পরবর্তীতে পশ্চিম ত্রিপুরার একটি আদালত তাদেরকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। পার্সটুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চার দিন ধরে তারা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আটকে ছিলেন।

গত ১৮ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ-ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তের নো-ম্যানসল্যান্ডে ৬ পুরুষ, ৯ নারী ও ১৬ শিশুসহ রোহিঙ্গারা আটকে ছিলেন। কোনও দেশই তাদের স্বীকৃতি দেয়নি।

বিজিবির দাবি ছিল তাঁরা ভারত থেকে এসেছে, বিএসএফ তাদেরকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু বিজিবির ওই দাবি অস্বীকার করে বিএসএফ। উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েকবার পতাকা বৈঠক করেও কোনও ফল হয়নি।

বিএসএফের ডিআইজি ব্রিজেশ কুমার কঠোরভাবে বিজিবির দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বিএসএফের মান-সম্মান নষ্ট করতেই বিজিবি এ ধরণের অযৌক্তিক অভিযোগ করেছে বলেও তিনি সেসময় বলেন।

একইভাবে বিএসএফের উপ-মহাপরিদর্শক সি এল বেলওয়া বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার চেষ্টা করলে আমরা তাদেরকে বাধা দিয়েছি। আমরা মানবিক কারণে তাদেরকে খাওয়ার পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়েছি।

চার দিন ধরে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নীচে অসহায় অবস্থায় থাকার পরে অবশেষে আমতলি থানা এলাকার রায়েরমুড়া সীমান্ত থেকে বিএসএফ তাদেরকে আটক করে আমতলি থানায় হস্তান্তর করে। সেখান থেকে তাদেরকে পশ্চিম ত্রিপুরার স্থানীয় এক আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

আব্দুল সুকুর নামে ধৃত এক রোহিঙ্গা গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁরা ট্রেনে চেপে জম্মু-কাশ্মির থেকে ত্রিপুরা পৌঁছান। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ ঢোকার চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের আটক করে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।

আব্দুল শুকুর বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মির থেকে রোহিঙ্গাদের জোর করে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সরকার এবং ওখানকার লোকজন বলেছে আমরা যেন জম্মু-কাশ্মির খালি করে দিই। আমরা বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।’

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন