শ্রীলঙ্কায় সহিংসতা ঠেকাতে টহলে হেলিকপ্টার, স্কুলগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার

  15-05-2019 01:56PM


পিএনএস ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় সহিংসতা ঠেকাতে হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশটির কলম্বো, কাতুনায়েকে ও রাতমলানা শহরের বিভিন্ন এলাকার স্কুলে শিশু-কিশোরদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমান বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ছাড়া সেদেশের পলাভিয়া, সিগিরিয়া, মরভাইয়া, মিরগামা ও দিযাতালওয়া উপ-বিভাগেও মোতায়েন করা হয়েছে বিমান বাহিনীর সদস্যদের।

বিমান বাহিনীর মুখপাত্র জিহান সেনেভিরাত্নে বলেন, জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে শ্রীলঙ্কা বিমান বাহিনী। তিনি বলেন, দাঙ্গা ও সহিংসতা নিরীক্ষণে হেলিকপ্টার টহলেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

গত ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডের দিনে দেশটির তিন গির্জা ও তিন হোটেলসহ আটটি স্থানে আত্মঘাতি বোমা হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আড়াই শ জনেরও বেশি নিহত হয়। আহত হয় পাঁচ শতাধিক। ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করে। এরপরই দেশটিতে মুসলিমবিরোধী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

সোমবার উগ্রপন্থিরা মসজিদ ও মুসলিম মালিকানাধীন দোকানগুলোতে হামলা চালায়। এ সময় ছুরিকাঘাতে একজন মুসলিম নিহত হন। পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী কারফিউ জারি করা হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম আমির মোহাম্মদ স্যালি (৪৫)। সহিংসতা চলাকালে ছুরিকাঘাতে আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই মারা যান স্যালি।

সোমবারের সহিংসতা চলে দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চল প্রদেশে।

ওই প্রদেশে অবস্থিত মারভিলা হাসপাতাল পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ছুরিকাঘাতে আহত ৪২ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত ওই ব্যক্তির নাম আমির মোহাম্মদ স্যালি। নিহতের এক প্রতিবেশী তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

উত্তর পশ্চিম প্রদেশের মুসলিম বাসিন্দারা বলেন, উগ্রপন্থিরা মুসলমান মালিকানাধীন দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং মসজিদে হামলা চালায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রদেশের কোটাম্পিতিয়া এলাকার একজন অধিবাসী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে টেলিফোনে বলেন, 'শত শত দাঙ্গাবাজ আমাদের মসজিদ পুড়িয়ে দিয়েছে। মুসলমান মালিকানাধীন দোকান ধ্বংস করেছে। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এসব দৃশ্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে।' তিনি বলেন, 'আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ আমাদেরকে ভেতরে থাকতে বলে।'

পুলিশের একজন মুখপাত্র রওয়ান গানসেকের বলেন, সারা দেশে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন