যুদ্ধ ঠেকাতে লেখক নিয়োগ দিচ্ছে ফ্রান্স সেনাবাহিনী

  22-07-2019 12:29AM


পিএনএস ডেস্ক: বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর (সায়েন্স ফিকশন) লেখকদের নিয়ে ‘রেড টিম’ নামের একটি বাহিনী তৈরি করতে যাচ্ছে ফরাসি সেনাবাহিনী। যাদের কাজ হবে ভবিষ্যতে হুমকি হতে পারে, এমন নানা বিষয় কল্পনা করে বের করা।

ডিফেন্স ইনোভেশন এজেন্সির (ডিআইএ) করা নতুন একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এই লেখকরা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ঝুঁকি কল্পনা করে বের করে সামরিক কৌশল ঠিক করা, যা হয়তো এখনো কেউ চিন্তা করেনি।

এই দলের কর্মকাণ্ড হবে অত্যন্ত গোপনীয়। তারা নানা ধরনের বিষয় বিবেচনায় রেখে কাজ করবে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষায় ফরাসিদের নতুন ধরনের কৌশল উদ্ভাবনের অংশ হিসেবে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

উদ্ভাবনী দলের একজন সদস্য বাস্তিল দিবসের সামরিক অনুষ্ঠানের সময় জনতার সামনে একটি জেট চালিত উড়ন্ত বোর্ডের প্রদর্শনী দেখান। এরপর প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ওই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিওতে মন্তব্য করেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী নিয়ে আমরা গর্বিত, যারা আধুনিক এবং উদ্ভাবক।’

কারা এই ‘রেড টিমের’ সদস্য?
এই টিমের মধ্যে রয়েছেন চার থেকে পাঁচজন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক। এই লেখকদের কাজ হবে প্রচলিত সেনাবাহিনীর চিন্তাভাবনার বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রমী চিন্তাভাবনা করা।

এসব কৌশলের মধ্যে তাদের ভেবে বের করতে হবে যে, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এবং বিদেশি রাষ্ট্রগুলো কিভাবে নতুন ধরনের আধুনিক অস্ত্র বা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে। সেসব মোকাবেলার পরিকল্পনাও তাদের তৈরি করতে হবে।

ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি বলেছেন, সামরিক উদ্ভাবনের সম্ভাব্য প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ‘সবরকম উপায়’ হাতে রাখতে চায়।

বাস্তিল উৎসবের ওই অনুষ্ঠানে আরও প্রদর্শন করা হয়েছিল নেওরোড এফফাইভ মাইক্রোওয়েভ জ্যামার, ড্রোন ধ্বংসে সক্ষম রাইফেলের মতো একটি অস্ত্র যা ওই ড্রোনটিকে পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে।

এখন পরিকল্পনা করা হচ্ছে যে, মালিতে থাকা ফরাসি বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য রোবট সেনা পাঠানো হবে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

বর্তমানে ব্যবহৃত অনেক সামরিক সরঞ্জাম আবিষ্কারের বহুদিন আগেই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর লেখকরা বর্ণনা করে গিয়েছিলেন। তার অনেক পরে সেসবের আবিষ্কার হয়েছে। যেমন পারমাণবিক বোমা।

ব্রিটিশ লেখক এইচ জি ওয়েলস ১৯১৪ সালে তার লেখা উপন্যাস ‘দ্য ওয়ার্ল্ড সেট ফ্রি’ আণবিক বোমার বর্ণনা করেছিলেন, যা প্রায় ত্রিশ বছর পরে আবিষ্কৃত হয়েছে। জুলভার্নের উপন্যাসে সাবমেরিনসহ এমন অনেক কল্পিত যানবাহনের বর্ণনা রয়েছে, যা সেই সময়ে ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে আবিষ্কৃত হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন