পিএনএস ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুরে এবিভিপির নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সঙ্গীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয়কে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন এক ছাত্রী। ১৯ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনার ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর দাবি করা হয় মেয়েটি মুসলিম। নাম শিল্পী আফ্রিন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ছাত্রী।
এ ঘটনার পরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে সোস্যাল মিডিয়ায় কুৎসা রটানো শুরু করে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চা বাহিনী। এমনকি খুনের হুমকিও দেয়া হয় ছাত্রদের।
এবার সেই হয়রানি ও হুমকির শিকার হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ছাত্রী শিল্পী আফ্রিন।
গেল শনিবার শিল্পীর একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এর পর থেকে ছবির নিচে চলতে থাকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।
এরইমধ্যে বিজেপি, এবিভিপি ও সংঘের অনুগামীরা সেই ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বাবুল সুপ্রিয়কে বাঁচানো ওই ছাত্রীকে শিল্পী আফ্রিন নামে চালানোর চেষ্টা করছে। শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে তাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। মুসলিম হওয়ার দরুণ মেয়েটির দিকে বাজে ও নোংরা মন্তব্য ছড়ানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী আফ্রিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কুরুচিকর যৌন ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে আমি নেই। অথচ আমার নাম সামনে আনা হচ্ছে। আমি শুধু এবিভিপির লোকেদের আমাদের ইউনিয়ম ঘর ভেঙে দেয়ার একটি ছবি আমি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। যারা এগুলো করছে তারা সবাই ক্ষমতাসীন বিজেপি ও এবিভিপির সমর্থক।’
এদিকে মেয়েকে নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে শিল্পীর পরিবারের সদস্যদের। ইতোমধ্যে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন আফ্রিন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বাবুলের চারিত্রিক বিষয়টিকে সামনে এনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাবুলের চরিত্র আমরা জানি। কিন্তু যাদবপুরের ছাত্রীরা কোনও অনৈতিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিনা আমরা সেটা জানার চেষ্টা করছি।’
মেয়েদের নিয়ে রাজ্য সভাপতির এমন করুচিপূর্ণ মন্তব্যে অনেকের তার প্রতি ক্ষোভ ঝাড়তে শুরু করেছেন।
পিএনএস/এএ
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মুসলিম ছাত্রীকে যৌন ইঙ্গিত, টানাহেঁচড়া নোংরামি!
23-09-2019 01:33PM