‘কুর্দি যোদ্ধারা সরে না গেলে সিরিয়ায় ফের সেনা অভিযান’

  20-10-2019 07:40AM



পিএনএস ডেস্ক: সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের হটাতে সেনা অভিযান পরিচালনা করে তুরস্ক। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আঙ্কারা পাঁচ দিনের জন্য ওই অভিযানে বিরতি টানতে সম্মত হয়।

এই শর্তে যে, এর মধ্যে কুর্দি যোদ্ধারা নিরাপদে ওই অঞ্চল থেকে সরে যাবে। তবে এ শর্ত পালিত না হলে পুনরায় সেনা অভিযান পরিচালনার হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও কুর্দি বিদ্রোহীদের উদ্দেশ্যে এ হুঁশিয়ারি জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এরদোগান বলেন, সিরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে কুর্দি বিদ্রোহীদের হটিয়ে নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠা করা না হলে আগামী মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলেই নতুন করে অভিযান শুরু করবে আঙ্কারা। চুক্তির স্বার্থেই ১৮ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সেনা অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

অভিযানে বিরতি ঘোষণার পরও তুর্কি সেনারা সীমান্তে অবস্থান করছে, সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে এরদোগানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সীমান্তে সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়নি, আগামী ১২০ ঘণ্টা পাহারা দেওয়ার স্বার্থেই তাদের নিয়োজিত রাখা হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস'র (এসওএইচআর) দাবি, অভিযানে বিরতির কথা হলেও শুক্রবার সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাব আল খেইর ও রাস আল আইন শহরে তুর্কি বিমান হামলায় ১৪ বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি হয়েছে। যদিও এসওএইচআর'র এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে আঙ্কারা।

সিরিয়া ইস্যুতে গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তুরস্ক সফরে যান। সে সময় এক বৈঠকে এরদোগানের সঙ্গে তাদের সেনা অভিযানে বিরতি বিষয়ক চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুযায়ী আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে সব ধরনের অভিযান বন্ধ রাখবে আঙ্কারা। এর বিনিময়ে ওই অঞ্চল থেকে কুর্দি বিদ্রোহীদের সরিয়ে ‘নিরাপদ ভূমি’ তৈরি করতে তুরস্ককে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র। আঙ্কারা চায় ওই অঞ্চলে তুরস্কে আশ্রিত সিরীয় শরণার্থীদের পুনর্বাসন করতে।

পিএনএস/ হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন