রাম মন্দির ট্রাস্টে থাকবেন সব ধর্মের প্রতিনিধি

  12-11-2019 09:05AM


পিএনএস ডেস্ক: মাস খানেকের মধ্যেই রাম মন্দির বানানোর জন্য ট্রাস্ট গঠন করে ফেলতে চায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। রাম মন্দির ট্রাস্টে বিভিন্ন সংগঠন এমনকি বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সঙ্ঘ পরিবার এবং রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের সংখ্যা বেশি হবে তা নিয়ে খুব একটা দ্বিমত নেই। ভারতের সরকার চাইছে রাম মন্দির নির্মাণ করবে যে ট্রাস্ট, তাতে যেন হিন্দুদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি থাকেন। যাতে এই মন্দির নির্মাণ নিয়ে কোনোরকম বিতর্ক না হয় বা কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারেন।

এতদিন পর যখন রাম মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্থ হয়েছে তখন মোদি সরকার আর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না।

জানা গেছে, রাম মন্দির নির্মাণ কবে থেকে শুরু হবে সেটা ঠিক করতে হবে ট্রাস্টকে। সঙ্ঘ পরিবারের ইচ্ছে, হিন্দু নববর্ষের দিন থেকে কাজ শুরু হোক অথবা রামনবমী থেকে শুরু হোক। রামনবমী হলো ২ এপ্রিল, হিন্দু নববর্ষ মার্চের শেষ দিকে। সুতরাং এই সময়ের মধ্যে মন্দির নির্মাণ করা শুরু করতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

যতদিন পর্যন্ত ট্রাস্ট গঠিত না হচ্ছে ততদিন এ ব্যাপারে নির্দিষ্টভাবে কিছু করা সম্ভব নয়। সে জন্যই এক মাসের মধ্যে ট্রাস্ট গঠন করতে চাইছে সরকার। ট্রাস্ট হয়ে গেলে তারা মন্দিরের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে। তারপর পৌরসভাকে অনুমোদন করতে হবে। নকশা করতে হবে। এর জন্য কিছুদিন সময় দরকার।

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খুব সামান্য হলেও হতাশ হতে পারে নির্মোহী আখড়া। কারণে তারা এটাও প্রমাণ করেছেন যে স্মরণাতীত কাল থেকে রামের পুজো রাম চবুতরায় হয়েছে। কিন্তু মুসলিমরা এমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। কিন্তু রাম মন্দিরের সেবায়েত হিসেবে তাদের দাবি সর্বোচ্চ আদালত মানেনি। কিন্তু হতাশ হয়েও তাদের কিছু করার নেই। তবে তারা এ জন্য তৃপ্ত যে, রামমন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্থ হয়েছে।

সরকারি সূ্ত্র জানিয়েছে, ট্রাস্টে কারা থাকবেন, সেই নাম দ্রুত ঠিক করা হবে। বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলা হবে। তারপর তা চূড়ান্ত রূপ পাবে। রামমন্দির আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা নিঃসন্দেহে প্রাধান্য পাবেন। সেই সঙ্গে যাঁরা মধ্যস্থতার কাজ করেছেন, তাঁরাও ট্রাস্টে থাকতে পারেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন