মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক অস্থিরতা

  14-11-2019 07:20AM


পিএনএস ডেস্ক: ভারতের মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে রাজ্যটিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে।

রাজ্যপাল ভগত সিং কেশিয়ারির রিপোর্ট ও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তা অনুমোদন করার পরে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি শাসনের সবুজ সঙ্কেত দেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

এরআগে আজ রাজ্যপাল ভগত সিং কেশিয়ারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে এনসিপি। শিবসেনার দাবি, তাঁরা সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপালের কাছে তিন দিনের সময় চেয়েছিলেন। এনসিপি ও কংগ্রেসের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন চিঠি পেতে তাদের তিন দিনের সময় দেওয়া হোক। আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে রাজ্যপাল বিজেপির নির্দেশে কাজ করছেন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় তিনি দেননি।

রাজ্যপাল বিজেপিকে এজন্য তিন দিন সময় দিলেও শিবসেনাকে এনসিপি-কংগ্রেসের সমর্থন পেতে কেবল ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছেন। সময়সীমা বাড়িয়ে ৪৮ ঘণ্টা করার দাবি জানানো হলেও তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এভাবে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে শিবসেনা আদালতের কাছে দ্রুত শুনানি দাবি করেছে।

শিবসেনা নেতা প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেছেন, রাজ্যপাল এনসিপিকে দেওয়া সময়ের আগে কীভাবে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করতে পারেন?

মহারাষ্ট্রে কোনও দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এবং সরকার গড়তে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন জোগাড় করতে না পারায় বিজেপি আগেই সরকার গঠন থেকে পিছিয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে মুখ্যমত্রী পদ ও ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দর কষাকষির মধ্যে শিবসেনা প্রয়োজনীয় সমর্থন না দেওয়ায় এতদিনের বিজেপি-শিবসেনা জোট ভেঙে যায়। শিবসেনা পরবর্তীতে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথভাবে সরকার গড়ার প্রচেষ্টা চালায়। এনসিপি ও কংগ্রেসের মধ্যে এনিয়ে আলাপ-আলোচনার মধ্যেই রাজ্যপাল সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার কালিয়াচক কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ড. নাজিবর রহমান সোমবার (১১ নভেম্বর) রেডিও তেহরানকে বলেন, “এ সম্পর্কে আমরা যেটা মনে করি সেটা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য সব দলকে সমসুযোগ বা উপযুক্ত সুযোগ দেওয়া দরকার। এরফলে আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তিটা শক্তিশালী হবে। আর তা যদি করা না হয়, তাহলে গণতন্ত্রের শক্তি দিনে দিনে কমতে থাকবে। এটা রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতিকে সাংবিধানিক পদমর্যাদার দিকে লক্ষ্য রেখে করা উচিত। কোনও রাজনৈতিক দলের ইশারায় যদি এটা করে থাকেন তাহলে সেটা ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়।”

তিনি বলেন, “আমরা সংবিধান বিশেষজ্ঞ নই। তথাপি রাজনীতি বিজ্ঞান যতটুকু পড়াশোনা করেছি তাতে আমরা যেটা বুঝেছি সেটা হচ্ছে ভারতবর্ষের যে বহুদলীয় ব্যবস্থা, যেহেতু একদলীয় বা দ্বিদলীয় শাসন ব্যবস্থা ভারতে নেই সেহেতু বহু দলকে সুযোগ দেওয়া উচিত। এব্যাপারে সকলের লক্ষ্য রাখা উচিত বলে আমি মনে করি।”

পিএনএস/ হাফিজ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন