পিএনএস ডেস্ক : দুই উঠতি বয়সী সন্তানকে খুন করার পর আত্মহত্যার উদ্দেশে আটতলা থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন বাবা-মা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই দম্পতি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো এক নারী। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার রাতে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের গাজিয়াবাদ শহরের নয়ডা এলাকায়।
পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডয়ান এক্সপ্রেস জানায়, নয়ডার এক ভবনের আটতলা অ্যাপার্টমেন্টে দেড় মাস ধরে বসবাস করছিল পরিবারটি। সোমবার রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। যার জের ধরে ১৩ বছরের ছেলে এবং ১৮ বছর বয়সী মেয়েকে বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগে খুন করেন তাদের বাবা গুলশান বাসুদেব। এরপর তারা বাড়ির পোষা খরগোসটিকেও বিষ প্রয়োগে হত্যা করেন। শেষে স্ত্রী ও কাজের মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য বাড়ির আটতলা ফ্ল্যাট থেকে নিচে লাফ দেন। এতে স্বামী-স্ত্রী দুজনই মারা যান। তবে বেঁচে গেছেন অন্য এক নারী। গুরুতর আহত ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নিহত দম্পতির সঙ্গে তার কি সম্পর্ক জানা যায়নি।
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। বোড়িতে ঢুকে তারা দেখে, নিজেদের বিছানায় পড়ে রয়েছে ১৩ বছরের ছেলে এবং ১৮ বছর বয়সী মেয়ের মরদেহ। তারা ওই দম্পতির একটা সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে।
তাৎক্ষণিকভাবে এই হত্যা ও আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে স্থানীয় পুলিশের অনুমান দেনার দায় থেকে মুক্তি পেতেই এভাবে ছেলেমেয়েকে হত্যা করার পর সস্ত্রীক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন গুলশান বাসুদেব। বাসুদেবের একটি জিনসের কারখানা ছিল। কিন্তু ওই কারখানা ভালো চলছিল না। উপরন্তু কারখানা দিতে গিয়ে দেড় কোটি শ্বশুড়বাড়ি থেকে টাকা ঋণ করেছিলেন বাসুদেব। ফলে দেনার দায় আর হতাশা থেকে মুক্তি পেতেই আত্মহত্যা করেছে বাসুদেব।
পাশাপাশি কাজের মেয়ের সঙ্গে বাসুদেবের অবৈধ সম্পর্ক এবং এর জের ধরে পারিবারিক অশান্তির বিষয়টিকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তারা এই হত্যা ও আত্মহত্যার প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে। আত্মঘাতী হওয়া ওই দম্পতির নিকটাত্মীয় আর পাড়া প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।
পিএনএস/জে এ
ছেলেমেয়েকে খুন করার পর একি করলেন বাবা-মা!
03-12-2019 05:52PM