ভারত- মুসলিমদের দেশ নয় : মেহবুবা মুফতির মেয়ে

  05-12-2019 10:07AM


পিএনএস ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ে তার ক্ষোভ উগরে দিলেন বুধবার সংসদে পেশ হওয়া নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল প্রসঙ্গে। তার দাবি, বিজেপি সরকার মুসলিম সম্প্রদায়ের কাউকে যেকোনো রকম আনুকূল্য প্রদর্শন করতে চাইছে না এটা তারই ইঙ্গিত। সংসদে এই বিতর্কিত বিল পেশ হওয়ার পরেই পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধানের টুইটারে লেখা হয় ‘‘ভারত— মুসলিমদের দেশ নয়।''

পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতিকে গত ৫ আগস্ট আটক করা হয়। ওইদিন সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মিরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে দেয়া হয়। তার মেয়ে সানা ইলতিজা মায়ের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেন।

আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যারা সেখানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব চাইছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য এই বিলের বিরোধিতা করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, এই বিলে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য রয়েছে।

যদিও কেন্দ্রে দাবি, তারা আশপাশের দেশের ‘‘নিপীড়িত'' সংখ্যালঘুদের সাহায্যার্থে দায়বদ্ধ।

এই প্রথম মেহবুবা মুফতির কন্যা সরকারকে মুসলিমদের বিরোধাচরণ করার জন্য দায়ী করলেন তা নয়। জম্মু ও কাশ্মিরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নেয়ার পর জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর টুইটারেও তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ভারত সরকারের বিরুদ্ধে।

তিনি লিখেছিলেন, ‘‘ভারত সরকারের উদ্দেশ্য পরিষ্কার এবং অশুভ। তারা দেশের একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্যের জনতত্ত্ব বদলে নিতে চায়। মুসলিমদের শক্তি এতটাই তারা খর্ব করে দিতে চায় যাতে তারা নিজেদের দেশেই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে থাকে।''

গত ৫ আগস্ট থেকে মেহবুবা মুফতি, ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ ও তার পুত্র ওমর আবদুল্লাহকে আটক করে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিষ্কার জানা যাচ্ছে না, কবে তাদের মুক্তি দেয়া হতে ‌পারে।

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের লক্ষ্য ছ'টি সম্প্রদায়কে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া। হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সি— অন্য দেশের এই ছয় ধর্মাবলম্বী যে মানুষরা কোনো বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে আসবেন, তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার জন্যই এই বিল।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ মঙ্গলবার এই বিল সম্পর্কে বলেন, ভারতের তিন প্রতিবেশী দেশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। ফলে সেখানে কেবল অ-মুসলিমরাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হন। সূত্র : এনডিটিভি

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন