মধ্যরাতে চুরি করতে গিয়ে গৃহকর্ত্রীকে ধর্ষণ

  19-01-2020 05:02PM

পিএনএস ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের বার্নস্টেপলের ইলফ্রাকোম্ব নামক এলাকায় এক ‘সিরায়ল’ চোরকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, চুরি করতে গিয়ে এক নারীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ওই চোর। পরে ওই চোর মিথ্য গল্প বানিয়ে নিজেকে বাঁচাতে চেষ্টাও করে।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রস ওয়াইর্ন নামের ওই চোর ভুক্তভোগীর বাড়িতে ঢুকেন খুব সাবধানে। রস মনে করেছিল বাড়ির মালিক বাসায় নেই অথবা ঘুমিয়ে ছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল চুরি করে পালিয়ে যাওয়া। কিন্তু বাড়ির মালিক গোসলখানায় গোসল করছিলেন নগ্ন হয়ে!

ভুক্তভোগী নারী গোসল করার সময় কিছু একটার শব্দ শুনতে পেয়ে গোসলখানা থেকে বের হয়ে দেখন রসকে। তারপরই রস ওই নারীকে আক্রমণ করে। এসময় শব্দ হলে ঘুমিয়ে থাকা ওই নারীর মেয়ে জেগে যায় এবং নিজের রুম থেকে বের হয়ে দেখে রসের কাণ্ড। তারপর রস ভুক্তভোগীর মেয়েকে জোর করে তার রুমে বন্দি করে রাখে। ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণ করার পর রস পালিয়ে যায়।

এর আগেও রসের নামের চুরির মামলা রয়েছে। গত বছরের মে মাসে ধর্ষণকাণ্ডের আগেও রস একটি মামলায় জেলহাজতে ছিল। এই ঘটনার পর রসকে চিহ্নিত করা হয় তার ছবি দেখে। ওই নারীর বন্ধুরা চোরের একটি ছবি পান কোনোভাবে। পরে ভুক্তভোগী ওই ছবি পোস্ট করেন ফেসবুকে। সেই সঙ্গে তার ডিএনএও টেস্ট করা হয়।

এই ঘটনা নিয়ে রস ভিন্ন ভিন্ন গল্প তৈরি করেন নিজেকে বাঁচানো জন্য। তার দাবি ছিল , কোনো দিনই ওই বাড়িতে যায়নি রস। তারপর যখন পুলিশ আটক করে বিষয়টি নিয়ে জানতে চায়, তখন রস বলে ওই নারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয় অনলাইনে। তাকে যৌনমিলন করার জন্য বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। তারপর অ্যাক্সেটর ক্রাউন কোর্টে রস জানায়, ওই নারীকে তিন বছর ধরে রস চিনত। ধর্ষণ করার আগে তার সম্মতি নিয়ে আরো দু’বার যৌনমিলন করেছে।

রস জানায়, সোফায় ওরাল সেক্স করার আগে ওই নারীর বাড়িতে বসে কোকেন ও গাঁজা সেবন করেছিল তারা। তবে ওই নারী যখন পুলিশকে ওই ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তখন তিনি খুবই আতঙ্কিত ছিলেন। আক্রমণকারীর সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না তার।

রস তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু তদন্তে ধর্ষণ ও ভুক্তভোগীর মেয়েকে নির্যাতন করার প্রামণ পাওয়া যায়। আদালত তাকে বিপজ্জনক অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করেন।

পাঁচ দিনব্যাপী বিচার শেষে অ্যাটর্নি পাইয়ার্স নর্সওয়র্থি জানান, রস ২৫ বছর বয়সী ওই নারীকে তার মেয়ের সামনে ধর্ষণ করে। তারপর ভুক্তভোগীর মেয়েকে নিজের ঘরে বন্দি করে রাখে। ধর্ষণ শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় রস ওই নারীকে বলে কাউকে এই বিষয়ে কিছুই না বলতে।

তিনি আরো জানান, এই ঘটনার পর ওই নারী পুলিশকে ফোন করে সব কিছু জানান। তারপর তিনি তার বন্ধুদেরকেও জানান। তাদের মধ্যে এক বন্ধু ওই চোরের ছবি সংগ্রহ করে তাকে দেখান। চিহ্নিত করার পর ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেন। তারপরই তাকে খুঁজে পাওয়া যায়।

পাইয়ার্স নর্সওয়র্থি জানান, রসকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আদালত দণ্ডাদেশ দেবেন চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন