শেখ হাসিনার পর সিএএ নিয়ে ক্ষুব্ধ কারজাই-ও

  21-01-2020 11:00AM

পিএনএস ডেস্ক: ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ক্ষোভ লুকানোর কোনো চেষ্টা করেননি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি আবারও ভারতের এই আইন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারপর এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই।

মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ভারতের বাংলা সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার।

সোমবার এক সাক্ষাৎকারে সিএএ প্রসঙ্গে কারজাই বলেন, ‘আমরা কোনও হিন্দুর ওপর নিপীড়ন করিনি। আমাদের গোটা দেশটাই নিপীড়নের শিকার। আফগানিস্তানের ৩টি প্রধান ধর্মের মানুষ, মুসলমান, শিখ এবং হিন্দুদের একই ভাবে সহ্য করতে হয়েছে সেই নিপীড়ন। তাই ভারত যেন ভারত যেন মুসলমানসহ সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেই সমান দৃষ্টিতে দেখে।’

এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় দেশটির রাজধানী আবুধাবিতে গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না, কেন ভারত সরকার এটা করল। এটার প্রয়োজন ছিল না।’

আনন্দবাজার বলছে, নাগরিকত্ব বিলটি সংসদের দুই কক্ষে উত্থাপনের সময় বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের তুলনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ নিয়ে শুরু থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়াও প্রকাশ করেছে ঢাকা।

তবে আফগান সরকার এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের এই মন্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে মোদি সরকার। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, বর্তমান গনি সরকারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি যাতে না হয় এ নিয়েও তারা তৎপর রয়েছে।

কাবুলের ক্ষোভ সামাল দেওয়া গেলেও ঢাকাকে যে সামল দেয়া যায়নি প্রেশানমন্ত্রী শেখ হানিরার বক্তব্যে তা স্পষ্ট।

এ নিয়ে আনন্দবাজার বলছে, এবার বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। অগ্নিগর্ভ প্রতিবেশী বলয়ের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই ভারতের নির্ভরশীল মিত্র হিসাবে রয়ে গিয়েছে। আগামী মার্চে বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ উৎসবের সূচনায় ঢাকা যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার আগে এই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দু দেশের মতান্তরকে সরিয়ে দিতে তৎপরতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।

গত অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের সময় ৭টি চুক্তি এবং ৩টি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল পূর্ব এশিয়া থেকে বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায় গ্যাস সরবরাহ, চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার, বাংলাদেশে দক্ষতাকেন্দ্র গড়ে তোলা, বাণিজ্যিক সমঝোতা বাড়ানোর মতো বিষয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলিকে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন