‘সীমান্ত বিরোধের প্রভাব যাতে চীন-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে না পড়ে’

  28-05-2020 10:47AM

পিএনএস ডেস্ক : সীমান্তের অচলাবস্থার প্রভাব যাতে চীন ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত সুন ওয়েডং।

এনডিটিভি জানায়, সম্প্রতি বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনাকে ঘিরে সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি বাড়িয়েছে দুই দেশ।

বুধবার চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আলোচনা করেই এই সমস্যার (সীমান্ত বিরোধ) সমাধান করা হবে। দুই দেশ নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় সক্রিয় হবে। সীমান্তে স্থিতি বজায়ে উদ্যোগী হবে।’

সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু সেই পার্থক্যের ছায়া যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে না পড়ে। পারস্পরিক বোঝাপড়া যাতে নষ্ট না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আশাবাদী আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।’

সুন ওয়েডং বলেন, ‘আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে- কেউ কারও জন্য হুমকির কারণ নই। চীন ও ভারত একে-ওপরের কাছে সুযোগ তৈরির ক্ষেত্র। দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করতে হবে।’

গত কয়েক দিন সিকিম ও লাদাখ সীমান্তে হঠাৎ চীন এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মূলত অমীমাংসিত সীমান্তে দু’দেশের অবকাঠামো নির্মাণ নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত হয়।

এদিকে, চীন ও ভারতের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার এক টুইটে তিনি বলেন, ‘আমরা চীন ও ভারত দুই দেশকেই জানিয়েছি যে, আমেরিকা তাদের মধ্যেকার সীমান্ত বিরোধের মধ্যস্থতা বা সালিশি করতে প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। আপনাদের ধন্যবাদ!’

চীন এবং ভারতের মধ্যে প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা রয়েছে। সম্প্রতি সীমান্তের কিছু অমীমাংসিত এলাকায় দু’দেশের সেনাদের টহলের সময় বাদানুবাদ ও হাতাহাতি হয়।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন