ভ্রমণ বা সফরের সময় নামাজ পড়ার বিধান কী?

  06-11-2017 11:58AM


পিএনএস ডেস্ক: আমরা অনেকেই বিভিন্ন সময় নিজেদের প্রয়োজনে বা শখের কারণে ভ্রমণ করি। ভ্রমণ করা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। হয়ত এখন কষ্ট অনেক কম হয়। কিন্তু একটা সময় তো অনেক কষ্ট হত। তাই ইসলাম ভ্রমণের সময় ভ্রমণকারীর জন্য ইসলামী বিধানে কিছুটা ছাড় দিয়েছে। যেমন ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ। এই নামাজের ক্ষেত্রে ভ্রমণকরীর জন্য ইসলমী বিধান হলো তাকে কসর করতে হবে। ভ্রমণকালীন কসর নামাজ সম্পর্কে কয়েকটি বিধান তুলে ধরা হলো।

১. ইমামগণ এই ক্ষেত্রে সবাই এক মত যে ভ্রমণের সময় নামাজ কসর বা ছোট (চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজগুলো দুই রাকাত আদায় করাকে ইসলামী পরিভাষায় কসর বলা হয়) করে পড়তে হবে। এটা সেই সময় পড়তে হবে যদি ভ্রমণকারী পনের দিনের কম সময়ের জন্য কোথাও যান বা থাকার নিয়ত করেন। যদি পনের দিনের বেশি সময় থাকার ইচ্ছা থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই পুরো নামাজ পড়তে হবে। তখন আর কসর চলবে না। এটা হচ্ছে হানাফী ইমামদের মতামত। এই ক্ষেত্রে অবশ্য অন্য ইমামদের ভিন্ন মতও রয়েছে। আরও একটা বিষয় হচ্ছে যদি কেউ একটি শহরে বাড়ি নির্মাণ করে কিন্তু সেখানে সে নিয়মিত থাকে না। কোনো কারণে সেই শহরে গেল এবং নিজে বাড়িতে উঠলো না তবুও তিনি পুরো নামাজ পড়বেন। এই ক্ষেত্রে কসর নামাজ চলবে না।

২. একজন ভ্রমণকারী কখন থেকে কসর নামাজ পড়া শুরু করবেন এবং তার পনের দিনের যে সময় সেটা কখন থেকে বিবেচনা করা হবে? প্রথম কথা হচ্ছে একজন ভ্রমণকারী যখন তার এলাকা থেকে বেরিয়ে যাবেন তখন থেকে তিনি কসর পড়া শুরু করবেন। যেমন ঢাকায় বসবাস করে এমন কেউ যদি ঢাকার বাহিরে ভ্রমণে যাবেন তখন তিনি কসর নামাজ পড়া শুরু করবেন যখন তিনি ঢাকার সিটি পার করবেন এবং তিনি সময় গণনা শুরু করবেন যখন তিনি ঢাকা সিটি পার করছেন তখন থেকে।

৩. ভ্রমণের সময় কসর তো করা যাবে কিন্তু দুই ওয়াক্তের নামাজকে এক সাথে করা যাবে না। এটা অবশ্য হানাফি ইমামদের মতামত। কেউ কেউ অবশ্য বলেছেন যোহর ও আছর আর মাগরিব ও ইশা এক সাথে পড়া যাবে। হানাফি ইমামগণ বলেছেন যে, এক সাথে দুই নামাজ পড়ার বিধান শুধু হজের ক্ষেত্রে। তাও শুধু একদিনের জন্য। অন্য সময় এভাবে নামাজ আদায় করলে নামাজ হবে না।

৪. কসর আদায়কারীকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, ফজর ও মাগরিবের ক্ষেত্রে কোনো কসর নেই। কসর নামাজ পড়তে হবে শুধু যোহর, আছর ও ইশার নামাজের ক্ষেত্রে। কেউ যদি মাগরিবের নামাজের সময় কসর করে তাহলে তার নামাজ হবে না। অর্থাৎ ফজর ও মাগরিবের ক্ষেত্রে তাকে পুরো নামাজই পড়তে হবে। সূত্র: মুসলিমস্টোরিজ.টপ

পিএনএস/কামাল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন