পিএনএস ডেস্ক: জাতীয় অন্ধ সংস্থার মহাসচিব খলিলুর রহমান হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকার ৪নং দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল ৪-এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রমজান আলী ওরফে রমজান (পলাতক) ও টিপু জীরা। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হাসানুর রহমান নিবেন (পলাতক), মিনহাজ, শহীদ মোস্তফা ও জাহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া আইয়ুব আলী, নুরুল আলম সিদ্দিকী, সোহাগ হোসেন হাওলাদার ও ইয়াকুব আলীকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি রাতে খলিলুর রহমান মিরপুর ১ নম্বরে শাহ আলী বাগে জনতা হাউজিংয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ইয়াকুব আলীর ভাড়া বাসায় নির্বাচনে পরাজিত সভাপতি ও মহাসচিব পদপ্রার্থীর সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসেন। সেখানেই গুলি করে খুন করা হয় খলিলুরকে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী হাছিনা পারভীন আটজনের নাম উল্লেখ করে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। ডিবি পুলিশ তদন্তে এ ঘটনায় আরও দুজনের সম্পৃক্ততা পায়।
২০১৩ সালের ৩১ জুলাই ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন ডিবি পুলিশ। এর মধ্যে পাঁচজন অন্ধ সংস্থার সদস্য। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ওই পাঁচজন হলেন মিনহাজউদ্দিন, আইয়ুব আলী, ইয়াকুব আলী, নুরুল আলম সিদ্দিক ও সোহাগ হোসেন। বাকি পাঁচজন হলেন- রমজান আলী, হাসানুর রহমান ওরফে রুবেল, মো. শহীদ, টিপু ওরফে হীরা ও শহিদুল ইসলাম। হাসানুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পিএনএস/আনোয়ার
খলিল হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন
12-02-2018 02:31PM