প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: ১১ আসামিকে অব্যাহতি

  04-04-2018 03:10PM


পিএনএস ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজহারভুক্ত ১১ আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।

বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিসিটি) ইউনিটের অব্যাহতির আবেদনটি গ্রহণ করেন।

অপরদিকে আদালত আসামি সিদ্দিকুর রহমান, নাজমুল হক ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ২৮৭ ধারায় প্রসিকিউশন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অনুমতি দিয়েছেন।

যাদের অব্যাহতির প্রদানের আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এসএ সিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এসএম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন, সিদ্দিকুর রহমান, নাজমুল হক, শাহ আলম ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।

২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিমানবন্দর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখায় ১১ আসামির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অব্যাহতির সুপারিশ করে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিসিটির পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুল আলম।

অপরদিকে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এজাহারভুক্ত তিন আসামি সিদ্দিকুর রহমান, নাজমুল হক ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ২৮৭ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মামলার অনুমতি প্রার্থনা করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করে। ত্রুটি মেরামত করে সেখানে চার ঘণ্টা অনির্ধারিত যাত্রাবিরতির পর ওই উড়োজাহাজেই প্রধানমন্ত্রী বুদাপেস্টে পৌঁছান।

ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর তাদের তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। এর আগে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ বিমানের ছয় কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর বরখাস্ত হন বিমানের তিন প্রকৌশলীও।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বাংলাদেশ বিমানের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়েল ম্যানেজমেন্ট) উইং কমান্ডার (অব.) এমএম আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন