ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চিশতীর স্ত্রীর আগাম জামিন

  12-04-2018 03:59PM


পিএনএস ডেস্ক: ফারমার্স ব্যাংকে ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) স্ত্রী রুজী চিশতীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।

১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী ও তার স্ত্রী-পুত্রসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।

এর পর তাকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে চিশতীর নিজের ও তার পরিবারের পোষ্যদের হিসাবে স্থানান্তর করে ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই অর্থ আত্মসাতের সব ধরনের তথ্য-প্রমাণ রয়েছে দুদকের হাতে।

মামলায় গ্রেফতার চারজনের মধ্যে বাবুল চিশতী ছাড়াও রয়েছেন তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকের ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ। গ্রেফতার না হওয়া অন্য দুই আসামি হলেন- বাবুল চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী ও ব্যাংকের এসইভিপি ও গুলশান শাখার সাবেক ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন। গ্রেফতার চারজনকে পরে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. গোলাম নবীর আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে তাদের দশ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে চিশতীর পাঁচ দিন ও অন্য তিনজনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক বাবুল চিশতী অডিট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় তিনি নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। গুলশান শাখায় চিশতীর হিসাবে বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহকের হিসাব থেকে নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমেও মোটা অঙ্কের অর্থ জমা হয়। একই শাখায় চিশতীর স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের নামে খোলা ২৫টি হিসাবেও নগদে ও নানাভাবে অর্থ জমা হয়। চিশতী ও তার পোষ্যদের হিসাব থেকে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা স্থানান্তর, রূপান্তর ও উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২-এর ৪ নম্বর ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন