পিএনএস ডেস্ক : সাতক্ষীরায় স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের দায়ে জিয়াউর রহমান (৩৩) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত জিয়াউর রহমান সাতক্ষীরা সদর উপজেলা দক্ষিণ তলুইগাছা গ্রামের মৃত রাহামতউল্লাহ সরদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোরব দুপুরে নির্যাতিত শিশু তার চাচাতো বোনকে নিয়ে প্রতিবেশী জিয়াউর রহমানের আম বাগানে যায়। সেখানে জিয়াউর রহমান ওই শিশুকে চালতা ফল পাড়তে গাছে উঠিয়ে দেয়। গাছ থেকে চারটি চালতা পাড়তেই জিয়াউর রহমান সুকৌশলে সেগুলো নির্যাতিত শিশুর চাচাতো বোনকে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আর নির্যাতিত ১১ বছরের ওই শিশুকে কদবেল দেওযার কথা বলে থাকতে বলে।
চালতা ফল নিয়ে শিশুর চাচাতো বোন চলে গেলে জিয়াউর রহমান তাদের পারিবারিক গোরস্থানের একটি কবরে নিয়ে ওই শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় তার চাচাতো বোন আবার ফিলে এলে কবরের ভিতর বোনের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে জিয়াউর রহমান কবর থেকে উঠে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে আহত অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ৩১ অক্টোবর সদর থানায় মামলায় দায়ের করেন।
এ মামলায় চারচনের সাক্ষী ও নথি পর্যালোচনা শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি পলাতক রয়েছে।
পিএনএস/জে এ
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
11-06-2018 04:56PM