কারাগারে বসছে আদালত, বিএনপির আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে

  05-09-2018 10:47AM


পিএনএস ডেস্ক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার কিছুক্ষণের মধ্যে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে শুরু হতে যাচ্ছে। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সেখানেই রয়েছেন । বুধবার সকালে কারাগারের চারপাশে পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়।। কিছুক্ষণের মধ্য বিচারক প্রবেশ করবেন বলে পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন।

এদিকে বিএনপি আইন সম্পাদক কায়সার কামাল জানিয়েছন, খলেদা জিয়ার সকল আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে বকশিবাজার কোর্টে আসবেন। আদালত থেকে জানানোর পর তারা কারাগারের কোর্টে আসবেন।

মঙ্গলবার জানানো হয়, আলিয়া মাদ্রসার পরিবর্তে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিশেষ আদালত বুধবার বসবে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। কারণ এখানে বিএনপি চেয়ারপর্সন বেগম খালেদা জিয়া বন্দী আছেন। মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে একে ‘আইন পরিপন্থী’ বলেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন—খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া অর্থদণ্ডও করা হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়া রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজা ভোগ করছেন।

নিরাপত্তাজনিত কারণে রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৫ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ মাহবুবার রহমান সরকার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এজলাস স্থানান্তরের বিষয় বলা হয়েছে, এস.আর. ও নম্বর ২৬১-আইন/২০১৮-বিশেষ জজ আদালত নম্বর-৫, ঢাকায় বিচারাধীন বিশেষ মামলা নম্বর ১৮/২০১৭… যাহা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত, যাহার বিচার কার্যক্রম ঢাকা মহানগরের বকশি বাজার এলাকায় সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালত ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। বর্ণিত মামলার বিচার কার্যক্রম চলার সময়ে এলাকাটি জনাকীর্ণ থাকে বিধায় নিরাপত্তাজনিত কারণে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর সেকশন ৯ এর ২ উপধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বিশেষ জজ আদালত নম্বর-৫, ঢাকায় বিচারাধীন বিশেষ মামলা নম্বর ১৮/২০১৭ এর বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ঢাকা মহানগরের ১২৫ নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নম্বর ৭ কে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করিল। সেই সঙ্গে এই নির্দেশ দিল যে বিশেষ জজ আদালত নম্বর ৫, ঢাকায় বিচারাধীন বিশেষ মামলা নম্বর ১৮/২০১৭ এর বিচার কার্যক্রম সেই কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নম্বর ৭-এর অস্থায়ী আদালতে অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: নয়া দিগন্ত

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন