১৫ দিন পর ছয় জনকে গ্রেপ্তার দেখালো পুলিশ

  28-09-2018 11:36AM

পিএনএস ডেস্ক : নিখোঁজ সেই ৬ জনের খবর মিলেছে। ১৫ দিন পর এই ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল আদালতে হাজির করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওয়ারী থানার বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের একটি মামলায় তাদের তিন দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাকিম আদালতে তাদের হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ওই ৬ জন হলেন- শিক্ষানবিশ আইনজীবী শাফিউল আলম, তার ভাই বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত মনিরুল আলম, মনিরুলের বন্ধু চাকরিজীবী আবুল হায়াত, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শফিউল্লাহ এবং ডেমরার ডগাইরের একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্র মোশারফ হোসেইন মায়াজ ও মোশাররফ হোসেন খান। পরিবার সূত্র বলছে, গত ১২ই সেপ্টেম্বর দুই সহোদরসহ ওই ৬ জনকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী ও বিমানবন্দর থানায় নিখোঁজের পরিবার গেলেও পুলিশ জিডি নেয়নি। তবে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ বিষয়টি স্বীকার করছিলেন না।

দুই সহোদর শফিউল আলম ও মনিরুল আলমের মা রমিছা খানম নিখোঁজের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হজ পালন শেষে ১২ই সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন।

তাকে নেয়ার জন্য বিমানবন্দরে গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন তার ছেলে শফিউল আলম, মনিরুল ইসলাম এবং তাদের বন্ধু আবুল হায়াত। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ছেলেরা তার ব্যাগ, লাগেজ গাড়িতে তুলছিলেন।

হজ শেষে তিনি ক্লান্ত ও অসুস্থ ছিলেন। গাড়িতে মালপত্র তোলার শেষ হওয়ার মুহূর্তে কয়েকজন লোক এসে তার ছেলে শফিউল আলমের কাছে জানতে চান তার বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার বাঁধাই গ্রামে কি-না। জবাবে হ্যাঁ বলার পরই একজন শফিউলকে জাপটে ধরেন। এরপর পাশে থাকা আরেক ছেলে মনিরুল ইসলাম এবং তাদের বন্ধু আবুল হায়াতকে অন্যরা ধরে ফেলেন।

তিনি গাড়ি থেকে চিৎকার করে জানতে চান কেন তাদের ছেলেদের ধরা হয়েছে। তাদের কি অপরাধ। এ সময় পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন ছিল। তারা এগিয়ে গেলে ওই ব্যক্তিরা নিজেদের ডিবির লোক পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ড দেখায়। এরপর পুলিশ চলে যায়। এরপরই তিন জনকে একাটি গাড়িতে তুলে দ্রুত নিয়ে যায়।

রাতেই তার ছেলে শফিউল আলমকে সঙ্গে নিয়ে ডিবির লোকজন যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শফিউল্লাহ এবং নবম শ্রেণির ছাত্র মোশারফ হোসেন মায়াজকেও তুলে নিয়ে যান। এরপর থেকে ৬ জন নিখোঁজ ছিলেন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন