কখনো দেখিনি অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে রেখে রায় ঘোষণা হয়: জয়নুল আবেদীন

  29-10-2018 11:28AM

পিএনএস ডেস্ক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল খারিজের পর তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেছেন, অতীতে কখনো দেখিনি অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে রেখে রায় ঘোষণা করা হয়। এটা খুবই দুঃখজনক।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় আজ বিচারিক আদালতে রায় দিতে আর কোনো বাধা থাকল না। কিছুক্ষণেই মধ্যেই হয়তো এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

আপিল বিভাগের আদেশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদিন বলেন, অতীতে কখনো দেখি নাই সরকার এভাবে রায় দেওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া হাইকোর্টে কোনো প্রতিকার পাননি। আজকের রায়ের পর প্রমাণিত হলো, আপিল বিভাগসহ খালেদা জিয়া কোথাও ন্যায়বিচার পায়নি। এ ধরনের আদেশে আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি।

এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি আরো জানান, আজ বিচারিক আদালতে রায়ের সময় উপস্থিত থাকবেন কি না, তা খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন।

রায়ের পুনর্বিবেচনাতে আবেদন করবেন কি না এ প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, সিনিয়রদের সঙ্গে বসে আলোচনা করবো। আমরা মনে করি এটা রিভিউ করা দরকার।

তবে রোববার (২৮ অক্টোবর) অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছিলেন, যদি ডিসমিসড (খারিজ) হয়ে যায় তাহলে হয়তো আগামীকাল (সোমবার) রায় প্রদান করা সম্ভব হবে।

বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালত ভবনে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজ চলছিল। নিরাপত্তার কারণ উল্লেখ করে ৪ সেপ্টেম্বর ওই মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ২০ সেপ্টেম্বর এক আদেশে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলবে বলে আদেশে দেন। এর বিরুদ্ধে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিভিশন আবেদনটি করেন খালেদা জিয়া। যেটি ১৪ অক্টোবর খারিজ হয়ে যায়।

এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ের জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে ওই দিন বিকেলে (৮ ফেব্রুয়ারি) নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন