পিএনসে ডেস্ক: ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে রংপুর থেকে ঢাকায় এনে কেন্দ্রীয় কারাগারের অধীনে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে কেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে না, জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
রবিবার সকালে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পক্ষে পৃথক দুই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
এর আগে ৮ নভেম্বর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা জানতে চান হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
রবিবারের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। রংপুর কারা ও মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে (সিভিল সার্জন) এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছে আদালত।
একইসঙ্গে এই সময়ে রংপুর থেকে অন্য কোনো জেলায় স্থানান্তরের সময় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে সরকারকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার পৃথক দুই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রবিবার এই রিট আবেদন দুটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেছিল আদালত।
আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
বিশেষায়িত হাসপাতালে ব্যারিস্টার মইনুলের চিকিৎসা ও রংপুর আদালতে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা সরকারের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মইনুলের স্ত্রী সাজু হোসেন এ রিট দায়ের করেন।
রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের (মহাপরিদর্শক) আইজিপি, আইজি প্রিজন কারা কর্তৃপক্ষ ঢাকা, আইজি প্রিজন কারা কর্তৃপক্ষ রংপুর, সিভিল সার্জন ঢাকা, সিভিল সার্জন রংপুর, জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) আটজনকে বিবাদী করা হয়।
গত ৩ নভেম্বর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে আদালত চত্বরে পুলিশ বেস্টনির মধ্যে মইনুলের ওপর হামলা করে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।
রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় গত ২২ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তারর করা হয়।
রংপুরের বাসিন্দা মিলি মায়া বেগম ২২ অক্টোবর আদালতে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। ওই দিনই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পিএনএস/আনোয়ার
মইনুলকে ঢাকায় এনে কেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে না, সরকারের প্রতি হাইকোর্টের রুল জারি
11-11-2018 12:59PM