নাইকো মামলায় এফবিআইয়ের প্রতিবেদনের শুনানি ৩ জানুয়ারি ধার্য

  09-12-2018 12:06PM

পিএনএস ডেস্ক : নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কানাডীয় পুলিশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার ৯ নং বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান এ বিষয়ে শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এ দিন মামলাটির শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানিতে আদালতকে বলেন, এ মামলাটির বিচার দেশে এবং বিদেশে হচ্ছে। বিদেশিরা যে তদন্ত করেছেন সে বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

অপরদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার এ বিষয়ে শুনানির জন্য তারিখ পেছানোর আবেদন করেন এবং এ বিষয়ে আপত্তি দেবেন বলে আদালতে মৌখিকভাবে জানান। তারা বলেন, এ মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ। তাই সব আসামির উপস্থিতিতে মামলাটি শুনানি করা হোক।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আপত্তি দাখিল এবং এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২২ নভেম্বর ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ মামলায় রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইয়ের একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ ছাড়াও মামলায় রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সাক্ষ্য নিতেও আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।

মামলা করার পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুদকের দায়ের করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। আপিলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড বেড়ে ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতে ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকেই গত ৬ অক্টোবর চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নেয়া হয়। টানা এক মাস ২ দিন বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা নেয়ার পর ৮ নভেম্বর তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন