অবশেষে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন হিরো আলম

  10-12-2018 04:22PM

পিএনএস ডেস্ক : বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে সোমবার (১০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও রাজিক আল জলিল এ আদেশ দেন।

হিরো আলমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাওছার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার (৯ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

এর আগে গত ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই করে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ১০ জনের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এরপর মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি। আপিলেও তার প্রার্থিতা না টিকলে তিনি উচ্চ আদালতে যান।

হাইকোর্টে রিট করার পর পিএনএস এর সাথে সাক্ষাৎকারে হিরো আলম বলেন, উচ্চ আদালতের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
(পিএনএসকে দেওয়া হিরো আলমের সাক্ষাৎকার.........
উচ্চ আদালতের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে হিরো আলমের
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দেশে এবং দেশের বাহিরে আলোচিত মনোনয়ন প্রার্থী অভিনেতা ও মডেল হিসেবে পরিচিত বহুল আলোচিত-সমালোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা ট্রোল এবং মিমি তৈরি শুরু করলে দ্রুতই তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন।

সামাজিক মাধ্যমসহ দেশি এবং বিদেশি মিডিয়াতেও এখন আলোচিত তিনি। কখনো ইউটিউবে বিচিত্র অভিনয়, গান আর নাচ দেখিয়ে আবার কখনো দেশের ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে এবং ভারতের ছবিতে অভিনয় করে রয়েছেন আলোচনায়।

তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন একাদশ জাতীয় নির্বাচনের জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পত্র ক্রয় করে ।এর পর থেকেই দেশি মিডিয়ায় তিনি ‘টক অফ দ্যা কান্ট্রি’ হয়ে গিয়েছেন।

তার মনোনয়ন নেওয়াকে কেন্দ্র করে সারা দেশে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। হিরো আলমকে নিয়ে এতো আলোচনা কেন? বা তার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে কেনই বা এতো সমালোচনা। সব কিছুকে দৃঢ়ভাবে সামলে নিচ্ছেন তিনি। অনেকেই তাকে নিয়ে এক ধরণের নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছে। জাতীয় পার্টি থেকে তাকে মনোনয়ন না দেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন হিরো আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। এক শতাংশ ভোট না থাকায় মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন তার আপিল বাতিল করেছে। শনিবার (৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

হিরো আলমকে নিয়ে এতো আলোচনা কেন। কেনই বা তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বৈধতা দেওয়া হবে না পক্ষে-বিপক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে এরকম নানা প্রশ্ন নিয়ে শনিবার (৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে রিট করার পর পিএনএস অফিসে বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন হিরো আলম।নির্বাচনে অংশ নিতে বিভিন্ন তারকা বা পরিচিত ব্যক্তিত্বের মনোনয়ন পত্র কেনা এটাই প্রথম নয়, তবে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে শুধুমাত্র হিরো আলমকে ঘিরেই কেন এতো আলোচনা হচ্ছে? তাকে ঘিরে সবার কেন এতো আগ্রহ?

এই প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, ‘বর্তমান দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির প্রার্থীর চেয়েও তিনি বেশি জনপ্রিয়। জনগণ আওয়ামী লীগ বা বিএনপি'র কাউকে চায় না। আমার জনপ্রিয়তায় হিংসে করে প্রার্থীতা বাতিল করছে। জনগণ চায় আমার মতো স্বতন্ত্র প্রার্থীকে। আর তার জন্য স্বতন্ত্রদের জন্য ১ শতাংশ জনসমর্থন আইন করা হয়েছে, যাতে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন না করতে পারে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি উচ্চ আদালত রিট করেছি। আশা করি আদালতে আমি ন্যায় বিচার পাবো।উচ্চ আদালতের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আদালতের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে বাকিটুকু মহান আল্লাহ ভালো জানেন। আমার কপালে থাকলে আমি মনোনয়ন পাবো।

হিরো আলম বলেন,অনেকেই আমাদের মিডিয়াকে দোষ দিচ্ছেন। মিডিয়ার লোকেরা নাকি আমাকে নিয়ে বেশি লাফালাফি করে। আমি নাকি পাগল? আমি পাগল না, রাজনৈতিক নেতারাই পাগল উল্লেখ করে আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলম বলেন, আমাকে নিয়ে নাকি মিডিয়া পাগল হয়ে গেছে। রাজনৈতিক নেতারা, ঘুষখোর, রাজাকার। যদি আমি পাগল হই, তাহলে ওরাও পাগল। যারা এসব বলে তারা মূলত প্রতিভাকে সম্মান দিতে জানে না। প্রতিভাকে গলা টিপে মেরে ফেলতে চায়’)।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেও হিরো আলম পরবর্তীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন