সালমান শাহর মৃত্যু : রহস্য উদঘাটনে চলছে অধিকতর তদন্ত

  18-02-2019 05:41PM

পিএনএস ডেস্ক : প্রয়াত চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহর মৃত্যু রহস্য আজও অনুদঘাটিত। ওই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় অধিকতর তদন্ত চলছে। তদন্ত সংস্থা কোন প্রতিবেদন দাখিল না করায় ফের ১৮ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ সোমবার মামলার ধার্য তারিখে কোন প্রতিবেদন না আসায় ঢাকার মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ ফের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলাটি তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)- কে নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ পর্যন্ত কোন প্রতিবেদন দাখিল হয়নি।

এর আগে গত বছরের ২০ নভেম্বর ঘটনা তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।

প্রতিবেদনে বলেন, সালমান শাহের মা নিলুফা চৌধুরী ওরফে নীলা চৌধুরীকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সাক্ষী হিসেবে হুমায়ুন কবির, আ. সালাম, দেলোয়ার হোসেন শিকদার, আ. খালেক হাওলাদার, বাদল খন্দকার (চলচ্চিত্র পরিচালক), শাহ আলম কিরণ (চলচ্চিত্র পরিচালক), মুশফিকুর রহমান গুলজার (চলচ্চিত্র পরিচালক), এস এম আলোক সিকদার ও হারুন আর রশিদকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

আরও বলা হয়, অপমৃত্যুর মামলাটি অনেক পুরনো। মামলায় যেসব সাক্ষী করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ নির্ধারিত ঠিকানায় না থেকে নতুন ঠিকানায় চলে গেছেন। র্নিধারিত ঠিকানায় সাক্ষীরা না থাকায় তাদের পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। এরপরও তাদের খোঁজার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ১১/বি নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্ল¬াজার ফ্ল্যাটের নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে সালমানকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রথমে হলি ফ্যামিলি ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন।

পরের বছরের ২৪ জুলাই সালমানের বাবা তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে একটি নালিশী মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ একত্রে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেওয়া হয়।

একই বছরের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (এফআরটি) দাখিল করে। প্রতিবেদনে হত্যা নয় বরং অপমৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই বছর ২৫ নভেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আমলে নিলে সালমানের বাবা এর বিরুদ্ধে নারাজী দখিল করেন। ওই আদেশ খরিজ হলে এর বিরুদ্ধে দায়রা আদালতে রিভিশন দায়ের করা হয়। দীর্ঘদিন পরে ওই আবেদন শুনানি শেষে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটিকে ফের বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ হয়। বিচার বিভাগীয় তদন্তের ফাঁকে পেরিয়ে যায় ১২টি বছর।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দখিল করেন। এ প্রতিবেদনেও সালমানের মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়।

এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ফের সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নারাজি দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে তৎকালীন সিএমএম বিকাশ কুমার সাহা মামলাটি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) তদন্তের নির্দেশ দেন। সন্তুষ্ট হতে না পেরে ফের দায়রা আদালতে রিভিশন আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করেন সংশ্লিস্ট বিচারক ইমরুল কায়েস। এরপর অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন