খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ জুন

  14-05-2019 01:48PM


পিএনএস ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা গ্যাটকো ‍দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ জুন।

আজ মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ-৩ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার। তিনি খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা জানিয়ে এ মামলার শুনানি পিছিয়ে দেয়ার আবেদন করেন।

এছাড়া কারাকর্তৃপক্ষও কাস্টডি ওয়ারেন্টে জানায় খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাই তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি।

অপরপক্ষে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষ আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য নতুন উল্লেখিত তারিখ নির্ধারণ করেন।

কেরানীগঞ্জ কারাগারে আজই প্রথম এ আদালত বসে। গত রোববার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনের অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল গতকাল সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনের অস্থায়ী আদালতে নাইকো মামলাসহ অন্য মামলাগুলোর বিচার হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনের অস্থায়ী আদালতে মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। নাইকো মামলা ছাড়াও রাজধানীর দারুসসালাম থানার নাশকতার ৮ মামলা, যাত্রাবাড়ী এলাকায় বাসে অগ্নিকাণ্ডের মামলা এবং মানহানির অভিযোগে করা তিনটি মামলার বিচারে ঢাকার জজ আদালতের একটি এজলাস বসবে কেরানীগঞ্জের কারাগারে। এগুলো ছাড়া আরো কয়েকটি মামলার বিচারও ওই আদালতে হবে বলে জানান মোশাররফ হোসেন কাজল।

এই মামলাগুলোর বিচার এত দিন নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত এবং কারাগারের পাশে বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে চলছিল। ঢাকার জজ আদালতের মূল ভবন থেকে নিয়ে কারাগারের পাশে আদালত বসানোর ক্ষেত্রেও নিরাপত্তাকে কারণ দেখিয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়।

বিএনপি বরাবরই বাইরে আদালত বসিয়ে বিচারের বিরোধিতা করে আসছে। পাশাপাশি পুরনো কারাগারে একমাত্র বন্দী হিসেবে রেখে ৭৪ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আরো অসুস্থ করে ফেলা হচ্ছে বলে দলটির শীর্ষ নেতারা অভিযোগ করে আসছেন।

এক বছর ধরে নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে বন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে তিন বছর আগে চালু হওয়া কেরানীগঞ্জের কারাগারে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথা সম্প্রতি জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারটি জাদুঘরে রূপান্তরের কাজ শুরু হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, খালেদাকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে নেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে, যেকোনো সময়ই নেয়া হবে।

তবে বিএনপি এরও বিরোধিতা করে আসছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছিলেন, কেরানীগঞ্জ কারাগারের নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি, সেখানে গ্যাস-পানির এখনো তেমন কোনো সুবন্দোবস্ত নেই। নির্মাণাধীন একটি কারাগারে স্থানান্তরের সরকারি চিন্তাভাবনা মনুষ্যত্বহীন পদক্ষেপ।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন