ওসি মোয়াজ্জেমকে সাইবার ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয়েছে

  17-06-2019 01:57PM

পিএনএস ডেস্ক : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে শাহবাগ থানা থেকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে নেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে শাহবাগ থানা থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে আদালতে নেয় ফেনী পুলিশের একটি টিম। দুপুর ২টার সময় তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা যায়।

রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। সোমবার সকালে তাকে ফেনীর সোনাগাজী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গত ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থানার প্রত্যাহার করা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুর হক সুমন।

ওইদিন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস শামস জগলুল হোসেন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে ঘটনাটি তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দেন।

পিআইবি ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ২৭ মে ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

জবানবন্দি দেয়ার সময় বাদী সুমন বলেছিলেন, যৌন হয়রানির বিষয়ে নুসরাত থানায় অভিযোগ করতে গেলে আসামিসহ তাকে থানায় নেয়া হয়। সেই সময় ওসি মোয়াজ্জেম তাকে আপত্তিকর জেরা করেন ও জেরার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।

নুসরাতের মৃত্যুর পরদিন ১১ এপ্রিল সোস্যাল মিডিয়ায় ধারণ করা সেই ভিডিওটি তিনি ছেড়ে দেন। থানার ভেতরে এমন ভিডিও ধারণ করা, পরে সেটি সোস্যাল মিডিয়ার ছেড়ে দেয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের হিসাবে এটি গুরুতর অপরাধ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার নামে থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে পুলিশ মাদরাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাকে আটক করে। গত ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা ৫ দিন মুত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন