প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার সুমনের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা খারিজ

  21-07-2019 03:10PM

পিএনএস ডেস্ক : সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিপীড়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে করা ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

রবিবার দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান মামলাটি খারিজ করে দেন।

আদেশে আদালত বলেছে, “দণ্ডবিধিতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার যে সংজ্ঞা দেওয়া আছে, তার মধ্যে প্রিয়া সাহার বক্তব্য পড়ে না বিধায় নালিশি মামলাটি খারিজ করা হলো।”

এর আগে সকালে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও মানহানির দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ানের আদালতে মানহানির অন্য মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির (বার) কার্যনির্বাহী সদস্য ইব্রাহিম খলিল।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার হোয়াইট হাউসে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহার দেওয়া বক্তব্যকে ঘিরে তোলপাড় চলছে।

সেখানে আমন্ত্রিত চীন, তুরস্ক, উত্তর কোরিয়া, মিয়ানমারসহ ১৬টি দেশে সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের শিকার একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলছিলেন ট্রাম্প।

এ সময় প্রিয়া সাহা নামের এক নারী নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে বলেন, “স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানকার ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ‘নিখোঁজ’ হয়ে গেছে। দয়া করে বাংলাদেশি জনগণকে সাহায্য করুন। আমরা দেশ ছাড়তে চাই না, থাকতে চাই।”

ট্রাম্প তখন বলেন, “বাংলাদেশ?” জবাবে হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়ে ওই বাংলাদেশি নারী আরও বলেন, “এখনো সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ থাকে। আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা দেশ ছাড়তে চাই না। সেখানে থাকতে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার জমি ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কোনো বিচার হয়নি।”

তখন ট্রাম্প জিজ্ঞাসা করেন, “কে জমি নিয়ে গেছে?” উত্তরে প্রিয়া সাহা বলেন, “মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনগুলো। তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে আসছে।”

পরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এবিসি নিউজের একটি ভিডিওতে প্রিয়া সাহার কথোপকথনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের সমালোচনা-আলোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিওকে কেন্দ্র করে নানা মন্তব্য করেন অনেকেই।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন