মিন্নির জামিনের শুনানি শেষ, কাল আদেশ

  28-08-2019 04:18PM

পিএনএস ডেস্ক: বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে মিন্নির পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং তার টিমের সদস্যরা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সরোয়ার হোসাইন।

গত ২২ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার আগেই মিন্নির দোষ স্বীকার সংক্রান্ত বিষয়ে বরগুনার এসপি কখন সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকেও আদালতে আসতে বলা হয়।

আদালতের নির্দেশে মিন্নিকে আসামি করা বিষয়ে যাবতীয় নথি (কেস ডকেট) নিয়ে আজ আদালকে হাজির হন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের এস আই হুমায়ন কবির।

এর আগে গত ৩০ জুলাই বরগুনা জেলা দায়রা ও জজ বিচারক আসাদুজ্জামানের আদালত মিন্নির জামিন নামঞ্জুর করেন। গত ৪ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মিন্নির পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। গত ৮ আগস্ট হাইকোর্টের একটি অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ মিন্নিকে জামিন দেয়নি। এ অবস্থায় তার আইনজীবী আবেদনটি ফেরত দেয়ার আবেদন জানালে হাইকোর্ট তা মঞ্জুর করে। পরে গত ১৮ আগস্ট অন্য বেঞ্চে মিন্নির জামিনের আবেদন উপস্থাপন করা হয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। একাধারে রিফাতকে কুপিয়ে বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে হামলাকারীরা। গুরুতর আহত রিফাতকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে নিহতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে প্রথমে ১২ জনের নাম ও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত উল্লেখ্য করে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এখন পর্যন্ত ১০ আসামি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর মিন্নির সঙ্গে খুনি নয়ন বন্ডের বিভিন্ন ভিডিও, অডিও ও ছবি ভাইরাল হলে তাকে ঘিরে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ১৬ জুলাই সকালে মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা-মাইঠা এলাকা থেকে পুলিশ লাইনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। এরপর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯ টায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাকে রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখন স্বামী রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন