২০১৯: বছরজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত যত মামলা ও রায়

  13-01-2020 02:55PM

পিএনএস ডেস্ক:খালেদা জিয়ার মামলা ও জামিন: ২০১৯ সালের পুরো বছরজুড়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলা ও জামিন ইস্যু নিয়ে আদালতপাড়ায় আলোচনা-উত্তেজনা চরমে ছিল। বছরের শুরুতেও যেমন বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন মেলিনি তেমনই বছর শেষেও এর চিত্র বদলায়নি। সবশেষ গত ১২ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। তবে খালেদা জিয়া রাজি থাকলে তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেছেন আদালত। এর ফলে এই মামলায় খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার জন্য কেবল আপিলের রায় রিভিউ করতে পারবেন।

বেগম জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, রিভিউয়ে আপিলের রায়ে কোনও পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এর আগে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাঁর বয়স, অসুস্থতা ও মানবিক দিক বিবেচনার কথা উল্লেখ করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন চেয়েছিলেন। বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারা তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়াও অপর ৩ আসামিকেও ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডও দেয়া হয়।

নদী-নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা: বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদী ব্যক্তি আইনি সত্তা বা জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি তুরাগ নদ রক্ষায় মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে উচ্চ আদালত এ রায় দেন। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ১ জুলাই।

রায়ে বলা হয়, তুরাগ নদসহ বাংলাদেশের মধ্যে এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদী একই মর্যাদা পাবে। এর আগে একটি ইংরেজি দৈনিকে নদ-নদী দখল সংক্রান্ত বিষয়ে এক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তিতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদন দায়ের করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরে ওই রিটের ওপর জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে হাইকোর্ট মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বিয়ের কাবিননামা থেকে ‘কুমারী’ শব্দ বাদ দেয়ার নির্দেশ: মুসলমানদের বিয়ের কাবিননামা ফরমের ৫ নম্বর কলাম থেকে কনের বেলায় ‘কুমারী’ শব্দটি বাদ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ‘কুমারী’ শব্দের স্থলে কাবিননামায় ‘অবিবাহিত’ শব্দ প্রতিস্থাপনেরও নির্দেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে কাবিননামার ফরম ৪ ক এর উপধারা সংযোজন করে ছেলেদের ক্ষেত্রে বিবাহিত, অবিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত কিনা তা লিপিবদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আত্মীয় না হলেও রোগীকে কিডনি দেওয়ার বৈধতা দিয়ে রায়: আত্মীয় না হলেও কোনও ব্যক্তিকে কিডনি দান করার বিধান রেখে আইন সংশোধনের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশে মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন ১৯৯৯ এর তিনটি ধারাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন। সাড়ে চার বছর আগে করা এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি দিলীরুজ্জামানের সমেন্বয়ে গঠিহ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রায়ে বলা হয়েছে, নিকটাত্মীয়ের বাইরেও বা মানবিক ও সহানুভূতিশীল যে কেউ চাইলে কিডনি দান করতে পারবেন। ২০১৮ সালের আইনের একটি সংশোধনী অনুযায়ী ২৩ জন নিকটাত্মীয়ের বাইরে কেউ একজন রোগীকে কিডনি দান করতে পারতেন না। আদালতের নতুন নির্দেশনার পর কিডনি প্রতিস্থাপন আগের চেয়ে সহজতর হবে। এখন মানবিক বিবেচনায় যে কেউ কিডনি দান করতে পারবেন। তবে মাদকাসক্ত ও কেনাবেচা করেন এমন কিডনি দেওয়া যাবে না বলেও আদেশ দেন আদালত।

আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের জটিলতা নিরসন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে স্নাতক (সম্মান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আইনজীব হিসেব তালিকাভুক্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। ২৭ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) আবেদন খারিজ করে দেন। এর ফলে আইনজীবী তালিকভুক্তির পরীক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সেমিস্টারের ৫০ জনের অধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তা দূর হয়। রায়ে বলা হয়, আদালতের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ২০ দিনের মধ্যে বার কাউন্সিলকে শিক্ষার্থীদের রেজিস্টেশন ও ফরম পূরণ সম্পন্ন করতে হবে।

হলি আর্টিজানে হামলা মামলার ঘটনায় ৭ আসামিকে ফাঁসি: বহুল আলোচিত রাজধানীর হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান গত ২৭ নভেম্বর এ রায় দেন। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশান এলাকার কূটনীতিকপাড়ায় হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়।

এমপি লিটন হত্যা মামলার রায়: তিন বছর আগে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের খানসহ ৭ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দিয়েছেন আদালত। গত বছরের ২৮ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক বহুল আলোচিত এ হত্যা মামলার এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাবেক এমপি কাদের খান, তার পিএস শাসছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন ও রানা এবং চন্দন কুমার রায়। এর মধ্যে চন্দন কুমার রায় পলাতক আছেন। মামলার অপর আসামি কসাই সুবল কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা (মাস্টারপাড়া) গ্রামের নিজ বাড়িতে খুন হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ক্ষমতাসীন দলের এমপি লিটন। দুটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। রায়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খানকে অভিযুক্ত করা হয়।

মোবাইল কোর্টে দণ্ডিত ১২১ শিশুকে মুক্তির নির্দেশ: বিভিন্ন অপরাধে মোবাইল কোর্টে সাজা পেয়ে গাজীপুরের টঙ্গী এবং যশোরের শিশু-কিশোর সংশোধন উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা শিশুদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের তাৎক্ষণিক এবং ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের ছয় মাসের জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেয়া একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ‘আইনে মানা, তবু ১২১ শিশুর দণ্ড’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি দেখে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গত বছরের ৩১ অক্টোবর রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলেছেন, কোনও শিশুকে মোবাইল কোর্ট সাজা দিতে পারে না। শিশুরা অপরাধ করলে তাদের বিচার হবে শিশু আদালতে। একদিনের জন্যও কোনও শিশুকে বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে আটকে রাখার এখতিয়ার নেই।

কারাগারে বন্দিদের আইনগত অধিকার নিশ্চিতের নির্দেশ: কারাগারে বন্দিদের আইনগত অধিকার নিশ্চিতে মানসম্মত জায়গাসহ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কারা চিকিৎসক সংকট নিয়ে দেশের কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালত রিট দায়ের করেছিলেন এক আইনজীবী। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত কারগারে আইনগত অধিকার নিশ্চিত মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং বন্দিদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে কারা চিকিৎসকের শূন্য পদে নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করে হবে তা জানতে চেয়েছেন।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরাব ফাহাদ হত্যায় ছাত্রলীগের ২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট: ফেসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১৩ নভেম্বর চার্জশীট তৈরি করেছে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। দেশব্যাপী আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বুয়েটে দুই মাসের বেশি একাডেমিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকে। পরে আবরার হত্যার আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার পর বুয়েট কর্তৃপক্ষ ২৬ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। যে ২৬ ছাত্রকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ২৫ জন আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত আসামি। চার্জশিটে বলা হয়েছে, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১১ জন সরাসরি সম্পৃক্ত এবং বাকিরা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ছাত্র সংগঠন ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নোটিশ জারি করলে ৪ ডিসেম্বর থেকে একাডেমিক কার্যক্রমে যোগ দেয় শিক্ষার্থীরা।

মাদরাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যায় ১৬ জনের ফাঁসি: সোনাগাজী উপজেলার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় গত ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করে এবঙ সেই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

২০১৯ সালের ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল অধ্যক্ষের সহযোগীরা পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে না নেয়ায় তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে মৃত্যুশয্যায় বলে যান নুসরাত। টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে সে মারা যায়।

রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট: বরগুনার প্রকাশ্যে দিবালোকে শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) কুপিয়ে হত্যা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। গত ০৮ জানুয়ারি বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ চার্জ গঠন করেন। এর আগে গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তা পুরো দেশবাসীকে নাড়িয়ে দেয়। পরে হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এরপর তদন্ত করে গত ১ সেপ্টেম্বর বহুল আলোচিত এ মামলায় ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ। আদালত এ আসামিদের দু’ভাগে ভাগ করেন। এদের মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও বাকি ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন